নিজস্ব প্রতিবেদন : নদীর জলে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক নাবালকের। মৃতের নাম দীপক সরকার। বয়স ১৬ বছর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ময়নাগুড়ির পাটকাখোচা গ্রামের নেওয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল কিশোর দীপক। ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকাবাসীরা তাকে উদ্ধার করে। দীপককে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  


উল্লেখ্য, এভাবে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরা বেআইনি। কিন্তু শীত পড়তেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে আট থেকে আশি, ছেলেবুড়োর দলকে এভাবে মাছ ধরতে দেখা যায়। পিঠে থাকে ব্যাটারি চালিত ইনভার্টার। আর সেই ইনভার্টারের সাহায্যেই বিদ্যুত তৈরি করা হয় নদীর জলে। ইলেকট্রিক শকে মৃত্যু হয় মাছের। এই সময় নদীর জল কম থাকে। আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে এভাবে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরে থাকে মৎস্য শিকারির দল।



বার বারই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পরিবেশপ্রেমীরা। এরফলে নদীর বাস্তুতন্ত্র বিপন্ন হচ্ছে। বোরলি, পুঁটি, খোকসা, ট্যাংরার মত সুস্বাদু নদীয়ালি মাছ এরফলে বিপন্ন হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে মাছ ধরায় একদিকে যেমন যথেচ্ছ ছোটো মাছের মৃত্যু হচ্ছে, তেমনই মাছের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে, মাছের সঙ্গে জলজ প্রাণীদেরও মৃত্যু হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন তাঁরা। অবিলম্বে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন, বিয়ের পর স্ত্রীকে কলেজে ভর্তি করে দিয়েছিল, শেষে প্রেমিকের হাতে খুন স্বামী!


কিন্তু তারপরেও যে পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি, তার প্রমাণ রবিবারের ময়নাগুড়ির এই ঘটনা। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস।