নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ি থেকে পালিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার কিশোরী। শেষপর্যন্ত তাকে উদ্ধার  করা গেলেও জিআরপি ও থানায় টানাপোড়েনে দিনভর হররানির শিকার হল ওই কিশোরী ও তার পরিবার। এমনটাই অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নতুন দল গড়ুন কিংবা অন্য দলে চলে যান, কপিল সিব্বলকে সাফ কথা অধীরের


লিলুয়া থানা এলাকায় উদ্ধার হওয়ায় বেলুড় জিআরপি ওই কিশোরীকে লিলুয়া থানায় পাঠিয়ে দেয়। অসুস্থ কিশোরীকে লিলুয়া থানায় এনে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সমস্যার শুরু। দীর্ঘক্ষণ তাকে বসিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি একবার জিআরপিতে যেতে বলা হয়। আবার জিআরপি থানায় যেতে বলে। এনিয়ে সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছটা অবধি চলে টানাপোড়েন। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।


এদিকে, মাঝে মধ্যেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিল ওই কিশোরী। তাকে শারীরিক চিকিৎসা করায়নি পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ কিশোরীর দাদার। উল্টে বলা হয় মেডিকেল করানোর ব্যবস্থা করাতে হবে নিজেদেরই। সংবাদমাধ্যম থেকে খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি নর্থ প্রবীণ প্রকাশের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে লিলুয়া থানা।


জানা গিয়েছে, লিলুয়া থানার বেলগেছিয়া এলাকায় কদিন আগে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতে এসেছিল এসেছিল ওই কিশোরী। বাড়িতে ঝামেলা হওয়ায় দুদিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। জগন্নাথ ঘাটে বসে থাকার সময় এক অপরিচিত তরুণীর সাথে আলাপ হয় তার। ওই তরুণীর সঙ্গেই বেলুড় এলাকায় একটি ঝুপড়িতে গিয়ে ওঠে। সেখানেই স্বামীর সাথে থাকত ওই তরুণী। অভিযোগ, গতরাতে ভিকি রায় নামে ওই তরুণীর স্বামী ওই কিশোরীকে শারীরিক ও যৌন হেনস্থা করে। বুধবার সকালে লিলুয়া স্টেশনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন- MCA পাস তবু চাকরি নেই! অবসাদে হাওড়ায় মা-বাবাকে খুন করে ৩ দিন একঘরে ছেলে


এদিন অপরিচিত নম্বার থেকে ফোন পেয়ে কিশোরীর বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।ঘটনার পর থেকে পলাতক ভিকি রায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কেন ওই কিশোরীর চিকিৎসা করাতে ও অভিযোগ নিতে দেরি হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।