বর্ষবরণের `ভ্রমণ` সেরে ৪ দিন পর ঘরের ছেলে `সচিন` ফিরল ঘরে
সামান্য খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। চোখের কাছে একটা কাটা দাগ হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'ঘুরে বেড়িয়ে' চার দিন পর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। নিজের এনক্লোজারে ফিরে এল সচিন। নতুন বছর শুরুর প্রথম দিন এনক্লোজার থেকে চম্পট দেয় চিতাবাঘটি। ৪ দিন ধরে অনেক খানা তল্লাশি চলে। কিন্তু চিতাবাঘের কোনও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে নিজেই নিজের এনক্লোজারে ফিরে এল সচিন।
৪ দিন পরেও সচিনের কোনও খোঁজ না মেলায় সাফারি কর্তৃপক্ষ মনে করেছিলেন, সম্ভবত মহানন্দা অভয়ারণ্য বা বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের দিকে চলে গিয়েছে চিতাবাঘটি। সেইমতো ওই দুই জঙ্গলের নিরাপত্তা ও টহলদারি বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, খড়দহ গণধর্ষণকাণ্ড: নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপিনেতা শমীক ভট্টাচার্য
পাশাপাশি, নতুন করে পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া না গেলে রবিবার থেকে সাফারি পুরোপুরি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরই আবার এদিন তৃণভোজী পার্কে নতুন করে পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। যা থেকে বোঝা যায়, বেঙ্গল সাফারি পার্কের ভিতরেই আছে সচিন। ফের শুরু হয় খোঁজ।
অবশেষে কর্তৃপক্ষ জানায় যে, নিজের এনক্লোজারেই ফিরে এসেছে সচিন। গতকাল রাতে এনক্লোজার খুলে রাখা হয়েছিল। ঘুরে বেড়িয়ে আবার নিজেই নিজের এনক্লোজারে ফিরে এসেছে সচিন। তবে সামান্য খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে সে। চোখের কাছে একটা কাটা দাগও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ভালো মতো খাওয়া-দাওয়া করছে।
আরও পড়ুন, 'সংশোধনী অসাংবিধানিক নয়', হাইকোর্টের রায়ে কাটল মেয়র নির্বাচনের কাঁটা
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে 'সচিন' ও 'সৌরভ' নামে দুটি চিতাবাঘকে আনা হয় এখানে। তাদের ঘিরে পর্যটকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বছরের প্রথম দিনও 'সচিন'-এর খোঁজেই ঘুরছিল পর্যটকদের চোখ। কিন্তু কোত্থাও দেখা মিলছিল না তার। পরে বোঝা যায়, নিজের এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে সচিন।
খবর চাউর হয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই। তারপরই এক লহমায় পর্যটকদের হাসিমুখে আতঙ্কের ছাপ ছড়িয়ে পড়ে। চিতাবাঘ পালিয়েছে শুনেই তড়িঘড়ি সাফারি পার্ক ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। শুরু হয় চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশেষজ্ঞ দল। ঘুমপাড়ানি গুলি, কুনকি হাতি, ড্রোন ক্য়ামেরা, ট্যাপ ক্যামেরা সব নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি।