Mithun Chakrabortty: `পুকুরের মধ্যে পুকুর কাটতে দেখেছেন কখনও, এরাজ্যে হয়`, একশো দিনের টাকা নিয়ে সরব মিঠুন
মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা সবাই পাবেন। কেন্দ্র থেকে লোক এসেছেন। তারা সব খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তারা এখন গ্রাম পঞ্চায়েতকে বলছে টাকা ফেরত দিন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বারবারই অভিযোগ তুলেছেন, কেন্দ্র একশো দিনের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। এমনকি জেলা সম্মেলনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনও বলেছেন একশো দিনের টাকা নিয়ে ব্লকে ব্লকে আন্দোলন হোক। সে নিয়েই এবার সরব হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বুধাবার পুরুলিয়ায় বিজেপির এক কর্মী সম্মেলনে মিঠুন বলেন, উনি বলছেন সেন্টার কোনও পয়সা দিচ্ছে না আমি কী করব। আপানারাই বলুন, রামকে আপনি পয়সা দিচ্ছেন। বলেছেন বাজার থেকে এই জিনিসটা নিয়ে আয়। রাম বাড়িতে ফিরলে দেখলেন রামের কাছে কোনও পয়সাই নেই। আপনি রামের কাছ থেকে হিসেব চাইবেন না? আপনি তো বলবেন, তোকে যে পয়সা দিলাম তার হিসেবে দে। আপনি কি বলবেন হিসেবটা শ্যামের কাছ থেকে নিয়ে নিন? একটা জিনিস স্পষ্ট, রাজ্যে যা কিছু হচ্ছে তা কেন্দ্রই করছে। কেন্দ্রের প্রকল্পে নিজেদের পোস্টার মেরে দিলে তো হবে না!
আরও পড়ুন-জোড়া নীল-সাদা হাঁড়িভর্তি রসগোল্লায় নতুন রাজ্য়পালকে মিষ্টিমুখ মমতার!
মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা মোদীজি করেছেন, সড়ক যোজনা মোদীজি করেছেন। একশো দিনের কাজের টাকা সবাই পাবেন। কেন্দ্র থেকে লোক এসেছেন। তারা সব খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তারা এখন গ্রাম পঞ্চায়েতকে বলছে টাকা ফেরত দিন। পুকুরের মধ্যে পুকুর কাটতে দেখেছেন? এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সম্ভব। একশো দিনের টাকা আটকে রাখা হয়েছে এইজন্য যে, আগে আপনি হিসেব দিন। হিসেব না দিলে পয়সা দেবে কি করে? এই পয়সা সাধারণ মানুষের পয়সা। তোমার আমার পয়সা। সবাইকে হিসেব দিতে হবে।
গত মে মাসে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে তৃণমূলের কর্মীসভায় একশো দিনের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ মে-র ওই সভায় মমতা বলেন, দেশে একশো দিনের কাজ করেন গরিব মানুষ। গত ৫ মাস ধরে টাকা দিচ্ছে না। একশো দিনের কাজের নিয়ম হল ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিয়ে দিতে হয়। কিন্তু আমাদের বাংলায় গত ৫ মাস ধরে টাকা বন্ধ রয়েছে। কেন টাকা বন্ধ রয়েছে তার জবাব চাই। আর জবাব না দিলে ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতারা ঢুকলে বলুন, এই একশো দিনের টাকা আগে দাও তারপর এলাকায় ঢোকো। প্রতিবাদ করুন। কারও গায়ে হাত দেওয়ার কথা বলছি না। রাজনৈতিক ভাবে ব্লকে ব্লকে ধর্না দিন।