নিজস্ব প্রতিবেদন: ৪২ বছরের সম্পর্কে ইতি। সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হলেন প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সুপারিশে শুক্রবার বহিষ্কৃত করা হয় তাঁকে। যদিও এক সপ্তাহ আগেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন মইনুল হাসান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্পর্কের সুতো আলগা হতে শুরু করেছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। আসন্ন পার্টি কংগ্রেসে যাচ্ছেন না বলে আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন মইনুল হাসান। এরপরই দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আর ক্ষীণ হয়ে ওঠে। এরপর তিনি জানিয়ে দেন, জেলার নতুন সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হলে সেখানেও থাকতে চান না। প্রসঙ্গত, রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের বাড়বাড়ন্ত সিপিএম-তৃণমূল জোটের পক্ষে ছিলেন তিনি। তা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ তৈরি হয়। সূত্রের খবর, মইনুল নিজেও জানতেন যে সিপিএম তাঁর এই মত মানবে না। তাই ধীরে ধীরে নিজেকেই গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন: সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মইনুলের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মামলা


এরপর রাজ্য সম্মেলনে নেতারা বলে দিয়েছিলেন, কমিটিতে মইনুল হাসানকে আর রাখা হবে না। তখনও অবশ্য মুখ খোলেননি মইনুল হাসান। এরপর সময়ের ব্যবধানে সংবাদমাধ্যমের কাছেও বেশ কয়েকবার দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মইনুল।


রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তৃণমূলের সঙ্গে সখ্য বাড়ছে মইনুলের। সূত্রের খবর, ২১ জুলাই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন এই প্রাক্তন সিপিআই(এম) সাংসদ। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও তরফেই স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। তবে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার পরই মইনুল হাসানের দলত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।’’


প্রসঙ্গত, এর আগে মথুরাপুরের এমপি রাধিকারঞ্জন প্রামাণিকও সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন।