নিজস্ব প্রতিবেদন- আই প্যাকে কাজ দেওয়ার নাম করে ব্লকে ব্লকে টাকা তোলা হচ্ছে কেন, প্রশান্ত কিশোর জবাব দাও! পোস্টার লিখে টাঙিয়ে দেওয়া হল শহরের একাধিক জায়গায়। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি তৃণমূলের অন্দরেই গোলমাল শুরু হয়েছে! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হচ্ছে দল! তবে এসব অভিযোগে আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল। বহরমপুর থানার ভাকুড়ি মোড়ে নজরুল মূর্তির বাইরের রেলিংয়ে পিকের টিমের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে দলের নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের সদস্যদের কাজ নয়। আসলে রাজ্যে ব্যাকফুটে থাকা কংগ্রেস, সিপিএমের লোকজন এসব করছে। যাতে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যায়!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদি তৃণমূল কর্মীদের নামে পোস্টার লিখে দাবি করা হয়েছে, পিকের জেলা সমন্বয়কারীকে অবিলম্বে জেলা থেকে সরাতে হবে। কো-অর্ডিনেটরদের নিয়েই যে যাবতীয় গণ্ডগোল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাই কো-অর্ডিনেটর সরানো দবি উঠল। পোস্টারে লেখা হয়েছে, কো-অর্ডিনেটর করা মানে কি তোলাবাজির ছাড়পত্র দেওয়া? মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল কংগ্রেস কো-অর্ডিনেটর হঠাও, তৃণমূল বাঁচাও। এই পোস্টারে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলায় আরো দুটি ব্লকে কো- অর্ডিনেটর-এর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে দলের একাংশকে।


আরও পড়ুন-  সেই রামও নেই, রাজত্বও...! মাসিক দুহাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হল সিপিএমের পার্টি অফিস


মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কো-অর্ডিনেটর-দের একাংশের দাবি, জেলা সভাপতি আবু তাহের খান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দলের শৃঙ্খলারক্ষার নির্দেশ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সময় থাকতে সেটা করেননি। তিনি এখনও কেন কোনো বার্তা দিচ্ছেন না? প্রশ্ন এই নিয়েও। যে সব কর্মী-সমর্খকরা দল বিরোধী কাজ করছে, প্রকাশ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একের পর এক প্রশ্নে সরগরম মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিদের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেই এই ধরনের বিতর্কিত পোস্টার মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতির বাতাবরণ আরও গরম করে তুলেছে।