নিজস্ব প্রতিবেদন: লাভের অঙ্ক বাড়াতে আনা হচ্ছে নতুন প্র‌যুক্তি। হলদিয়া বন্দরে তৈরি হচ্ছে নতুন টার্মিনাল। পুরনো লকগেট এরিয়ার বাইরে তৈরি হচ্ছে আউটার টার্মিনাল-২। প্রযুক্তির হাত ধরে ভাসমান জেটি থেকে পণ্য সোজা পৌছে যাবে ট্রান্সপোর্ট ভেহিকলসে। এর ফলে প্রতি‌যোগিতার দৌড়ে দেশের অন্যান্য বন্দরের সঙ্গে পাল্লা দেবে হলদিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাব্যতা কম থাকার কারণে হলদিয়া বন্দরে বড় জাহাজ ঢোকাতে অনেক কসরত করতে হতো। ব্যবহার করা হতো লক গেট সিস্টেম। ওই গেট ব্যবহার করে কৃত্তিম ভাবে জলস্তর বাড়িয়ে তোলা হতো। এর ফলে মাল পরিবহণে সময় যেমন বেশি লাগে তেমনি হুহু করে বাড়তে থাকে পরিবহণ খরচ। যার ধাক্কা গিয়ে পড়ে ব্যবসার অঙ্কে।


২০১৭ সালের একটি পরিসংখ্যান দেখলে গোটা বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট হবে। গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর প‌র্যন্ত পারাদ্বীপ বন্দরে ৭৪ হাজার ৩৯৫ টন পণ্য খালাস করেছে। ওই একই সময়ে বিশাখাপত্তনমে পণ্য খালাস হয়েছে ৪৬ হাজার ৫৫৯ টন। হলদিয়া বন্দরে এই অঙ্কটা হয়েছে ২৯ হাজার ২৩৪ টন।


বন্দরের নাব্যতা নিয়ে বহুদিন ধরেই চিন্তাভাবনা চলছিল। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে তাই আউটার টার্মিনাল তৈরির রাস্তায় হাঁটছে হলদিয়া বন্দর। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার বলেন, এই ব্যবস্থার ফলে হলদিয়া বন্দরের পণ্য পরিবহণ ৬-৭ মিলিয়ন টন বেড়ে ‌যাবে।


অারও পড়ুন-উদ্বেগে মোদী, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ


নতুন ব্যবস্থায় জাহাজকে আর জোয়ার-ভাঁটার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের ভিতর গভীর জলের ওপর থাকবে ভাসমান জেটি। জেটিতে থাকবে পণ্য পরিবহণের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রেন। অয়েল ট্যাঙ্কার, কার্গো বা ছোট জাহাজ ভাসমান জেটির পাশে দাঁড়িয়েই পণ্য খালাস করতে পারবে। ক্রেন থেকে মাল সোজা চলে যাবে পরিবহণের গাড়িতে। ফলে খরচ ও সময় দুইই কমবে। প্রায় দুশো কোটি টাকার প্রকল্প। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে দ্রুত গতিতে।