নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের এক আদিবাসী বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে আরও ৩ জনকে রবিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করল মহম্মদবাজারের পুলিস। জানা গিয়েছে, গ্রামেই লুকিয়ে ছিল ওই ৩ অভিযুক্ত। ঘটনার পাঁচদিন পর রবিবার  ২ জনকে পুলিস গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করার পাশাপাশি পুলিস গোপনসূত্রে খবর পেয়ে  বাকি ৩ জনকে  গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই নিয়ে ঘটনায় জড়িত মোট ৫ অভিযুক্তকেই কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে গ্রেফতার করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার মহম্মদাবাজারের বোরাবাঁধ গ্রামে এক আদিবাসী বিধবা গণধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন  স্থানীয় কোনও এক পুজোয় যোগদানের পর রাতের বেলা মহম্মবাজার থানা এলাকার চরিচা জঙ্গলে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় ওই জঙ্গলে জলপা হাঁসদা, কাটিজ হাঁসদা, ঢোকা বাসকে, লখিয়া হাঁসদা, তাম্বর বাসক নামে ওই ৫ যুবক বসে মদ্যপান করছিল। অভিযোগ, বিধবা ওই মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে দেখতে পেয়ে তাঁদের পথ আটকায় তারা। এরপর ওই মহিলার প্রেমিককে মারধর করা হয়। অভিযোগ ৫ মদ্যপ যুবক মিলে ওই বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণ করে।


আরও পড়ুন-  বাড়ি এসে বিনামূল্যে COVID টেস্ট শুরু হল কলকাতায়, রবিবার পাইকপাড়ার আবাসনে পৌঁছল পুরসভার টিম


গত ১৮ তারিখে এই ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় শনিবার মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলা।  মঙ্গলবার ঘটনা ঘটলেও ওই মহিলা কেন অভিযোগ দায়ের করতে দেরি করলেন? কেন এই কদিনের মধ্যে কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করলেন না? তাও খতিয়ে দেখছে মহম্মদবাজার থানার পুলিস। যদিও আদিবাসী এক নেতার দাবি, ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল অভিযুক্তদের তরফে। রবিবার সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নির্যাতিতা মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়।