ঘরের মধ্যে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার!
ওয়েব ডেস্ক: ঘরের মধ্যে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরের ধর্মতলা গ্রামে। মৃতার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে মধুমিতা আর তাঁর সন্তানকে। যদিও স্বামীর বক্তব্য, সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ফলে, খুনের অভিযোগে আপাতত গুরুত্ব দিচ্ছে না পুলিস।
সকাল সাতটা। অন্যদিনের মতোই পড়াতে এসেছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু, দরজা খুলতেই শিউরে উঠলেন তিনি। বিছানার ওপর পড়ে রয়েছেন মধুমিতা আর তাঁর বছর নয়েকের ছেলে অরিত্র। অরিত্রকেই পড়াতে এসেছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন বাড়ির অন্য সদস্য ও প্রতিবেশীদের।
খবর দেওয়া হয় মহিলার স্বামীকেও। যাদবপুরে তাঁর পানের দোকান। মধুমিতার স্বামীর বক্তব্য, সন্তানকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। যদিও, মৃতার পরিবারের লোকজনের দাবি খুন করা হয়েছে মধুমিতাকে। সুইসাইড নোটটিও তাঁর বোনের লেখা নয় বলে দাবি করেছেন তাঁরা। খবর পেয়ে পৌছে যান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কুমারকৃষ্ণ মণ্ডল।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন মধুমিতা। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় খুনের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে পুলিস।