নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রণয়ঘটিত কারণেই কি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অনীক দাসকে অপহরণ করে খুন (Murder)? নাকি খুনের পিছনে রয়েছে অন্য কারণ? বন্ধুর মায়ের অসামাজিক কাজকর্ম, দেহব্যবসার কথা জেনে ফেলাতেই খুন হতে হয়েছে মালদার (Maldah) পুকুরিয়া থানার পরানপুরের ১৩ বছরের কিশোরকে? অনীক দাসকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করছে পুলিস।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে অনীক ব্যাডমিন্টন  খেলত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও বাড়ির কাছেই বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করছিল পুকুরিয়া হাইস্কুলের ছাত্র অনীক। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় অনীক। রাত ৯টার পরেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা অনীকের খোঁজ শুরু করে। এরপরই এলাকার এক পরিত্যক্ত বাড়িতে অনীকের দেহ দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর গলায় ইলেকট্রিকের তার  ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ছিল। ওই তার দিয়েই শ্বাসরোধ করে অনীককে খুন (Murder) করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান। 


ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুকুরিয়া থানার পুলিস। মৃত অনীকের বন্ধুদের জিজ্ঞাসবাদ শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, অনীকের তিনজন বন্ধুর কথায় অসংলগ্নতা ধরা পড়েছে। ওদিকে পরিবারের পক্ষ  থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, অনীকের বন্ধু দীপ দাস গতকাল তাকে ফোন করেছিল। সেই ফোনের পরই নিখোঁজ হয়ে যায় অনীক। পুলিস ইতিমধ্যেই দীপ দাস, তার মা নমিতা দাস, দাদা আবির দাস, ভাই সমীর দাস ও বোন মেধা দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।


আরও পড়ুন, উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলায় জেলায় চলছে Corona Vaccine-এর Dry Run


এই ঘটনায় পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান যষ্ঠী দাস অভিযোগ করেছেন, নমিতা দাস এলাকায় অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত। বহুবার তাঁকে সর্তক করা হয়েছিল। মাদক কারবার সহ নমিতা দেহব্যবসা করেন, মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করেছেন ষষ্ঠী দাস। আর এই বিষয়টি জেনে যাওয়ার জন্যই অনীক দাসকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নমিতা দাসের স্বামী সঞ্জয় দাসের বছর দশেক আগে মৃত্যু হয়। নমিতা দাস তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে পুকুরিয়ার পরানপুরে স্বামীর বাড়িতেই থাকেন।


অন্যদিকে, খুনের পিছনে প্রণয়ঘটিত কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছে পুলিস। খুনের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয়। খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিস। সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত করছে পুলিস।