নিজস্ব প্রতিবেদন: ভদ্রেশ্বরের চেয়ারম্যান খুনে মূল অভিযুক্ত রাজু সাউ গ্রেফতার। রাজু সাউ ভদ্রেশ্বেরেরই নির্দল কাউন্সিলর। উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ থেকে রাজুকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। রাজু সাউ ছাড়াও জালে বাবান যাদব ও প্রভু চৌধুরী। মনোজ উপাধ্যায় হত্যাকাণ্ডে আগেই বারাণসী থেকে সাতজন এবং ভদ্রেশ্বর থেকে আরও ২জনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা করে পুলিস নিশ্চিত হয়, মনোজ উপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে যখন গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা, তখন সেখানে হাজির ছিল রাজু সাউ। ছিল বাবন যাদব এবং প্রভু চৌধুরীও। তবে এই তিনজনের কোনও খোঁজ মিলছিল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন : মনোজ উপাধ্যায় খুনে গ্রেফতার নির্দল কাউন্সিলর রাজু সাউ


ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তদন্তকারীরা জানতে পারে, ঘটনার পর যে যেদিকে পেরেছিল, সেদিকে পালিয়েছিল। তাই এই তিনজন কোথায় রয়েছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কোনও তথ্যই দিতে পারেনি অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের থেকে পুলিস জানতে পারে, উত্তরপ্রদেশে পরিচিত কারও থেকে সাহায্য পাবে, এই আশাতেই বারাণসীতে ছিল এই সাতজন। এদিকে এই ঘটনার তদন্ত সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখছিল সিআইডি। ধৃতদের থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে খোঁজ শুরু করেন গোয়েন্দারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডির একটি দল ফৈজাবাদ রওনা হয়ে যায়। সেখান থেকেই এই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। জানা গিয়েছে, রসদ ফুরনোর জন্য এদিক ওদিক ফোনে যোগাযোগ করেছিল রাজু সাউরা। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই তিনজনকে।


আরও পড়ুন : চন্দ্রকোনা রোডের কুবাই ব্রিজে ফাটল, বিচ্ছিন্ন মেদিনীপুর-বাঁকুড়া সড়ক যোগাযোগ


সিআইডি সূত্রে খবর, আজ রাজু সাউ, বাবন যাদব এবং প্রভু চৌধুরীকে ফৈজাবাদের আদালতে পেশ করা হবে। রাজ্যে আনতে অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ডে চাওয়া হবে। এদিকে মনোজ উপাধ্যায় হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিসের ধারণা, পুরনো শত্রুতার জেরেই মনোজ উপাধ্যায়কে খুন করা হয়। এই তিনজনকে জেরার পর খুনের মোটিভ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই ধারণা গোয়েন্দাদের।