নিজস্ব প্রতিবেদন : হলদিয়ায় শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির পদ খোয়ালেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। এর পিছনে নেপথ্য কারণ হিসেবে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। অনেকে আবার এর পিছনে 'অন্য গন্ধ'ও খুঁজে পাচ্ছেন যেন! উল্লেখ্য, কদিন আগেই দলীয় ও সরকারি সব বৈঠকে অতি অবশ্য করে উপস্থিত থাকার জন্য তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বার্তা যায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। প্রসঙ্গত, প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠকে ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অনুপস্থিতি ঘিরে নানাবিধ জল্পনা ছড়ায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার অধিকারী বাড়ির আরেক ভাই পদ খোয়ালেন! এই দুই ঘটনা নেহাতই কাকতালীয় নাকি এর পিছনে কোনও যোগসূত্র রয়েছে, তার উত্তর অবশ্য লুকিয়ে সময়ের গোলকধাঁধাতেই।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বলে রাখি, কয়েক বছর ধরে হলদিয়া রিফাইনারি টাউনশিপ মেইনটেনেন্স কনট্রাক্টর ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু গত ১৯ অগাস্ট সাধারণ সভা ডাকেন হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলর ও ওই ইউনিয়নের কার্যকারী সভাপতি দেবপ্রসাদ মন্ডল। ওই সাধারণ সভাতেই বর্তমান ইউনিয়নকে ভেঙে দেন দেবপ্রসাদ মণ্ডল। ইউনিয়ন ভেঙে দিয়ে নিজেকে সভাপতি বলে দাবি করেন তিনি। এভাবে ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়া, নিজেকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করার ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন ওই ইউনিয়নেরই কার্যকারী সহ সভাপতি ও জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি শিবনাথ সরকার।


শিবনাথ সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, "১৯ অগাস্ট ডাকা সাধারণ সভা অগণতান্ত্রিক।" এদিকে সভাপতি পদকে ঘিরে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে শাসকদলের অভ্যন্তরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি শিবির। বিজেপি শ্রমিক সংগঠন বিএমএস-এর জেলা কার্যকারী সভাপতি কটাক্ষ করেন, "শুধু ওই ইউনিয়নে নয়। প্রত্যেকটি কারখানায় পদ নিয়ে তৃণমূল নিজেরাই মারামারি করছে।" তবে এবিষয়ে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।


আরও পড়ুন, রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা  করতে জঙ্গলে যেতেই, আদিবাসী বিধবাকে 'গণধর্ষণ' ৫ মদ্যপের