TMC-র কর্মিসভায় পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ালেন Kalyan Banerjee
কর্মিসভা থেকে বেরিয়ে যান পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'শুধু তুমি জিতবে, আর এমপি, এমএলএ হারবে এটা হবে না'। কোন্নগরে তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভায় কানাইপুরে পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ালেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলল তর্কাতর্কি। শেষপর্যন্ত কর্মিসভা থেকে বেরিয়ে গেলেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, হুগলি জেলায় তৃণমূলকে শেষ করার দেওয়ার চক্রান্ত করছেন সাংসদ।
২০১৯-এ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের (TMC) কাছ থেকে হুগলি আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। দোরগোড়ায় একুশের বিধানসভা ভোটে। তার আগে দল বদলে ফেলেছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal)। দিল্লিতে অমিত শাহের (Amit Shah) বাড়িতে গিয়ে বিজেপিতে (BJP) নাম লিখিয়েছেন তিনি। তৃণমূল ছাড়ার আগে কানাইপুরে রাস্তা সারাই নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রবীর। বলেছিলেন, 'আমাকে ভোটে হারানোর জন্যই রাস্তা সারানো হচ্ছে না। আমি মুখ খোলার পর কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ার কানাইপুরের রাস্তা দেখতে এলে তাঁকে হুমকি দেন প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। বিধায়কের নাম করে গালিগালাজ করেন।' এবার সেই আচ্ছেলাল যাদবের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ালেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
আরও পড়ুন: ডোমজুড়েই কালো পতাকা রাজীবকে, অভিযোগ ওড়াল তৃণমূল
এদিন কোন্নগরের রবীন্দ্রভবনে কর্মিসভার আয়োজন করে তৃণমূল (TMC)। মঞ্চে ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee), তৃণমূলের হুগলির সভাপতি দিলীপ যাদব-সহ জেলার নেতা-নেত্রীরা। আর নিচে দর্শকাসনে বসেছিলেন কানাইপুর পঞ্চায়েতে প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইকে শ্রীরামপুরের সাংসদ তাঁকে বলেন, 'কানাইপুরে শুধু তুমি জিতবে, আর এমপি, এমএলএ হারবে এটা হবে না। এমপি ভোটে হেরেছি, এবার চার হাজার ভোটে জেতাতে হবে'। পাল্টা জবাব আসে, 'যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁদের বলুন'। এরপর দু'জনের মধ্যে রীতিমতো উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়ে যায়। একসময়ে কানাইপুরের পঞ্চায়েত প্রধান, সাংসদকে বলেন, 'আপনি আমায় ডেকে এনে অপমান করছেন'। তারপর কর্মিসভা ছেড়ে সটান বেরিয়ে যান তিনি।
কোন্নগরের রবীন্দ্রভবনের সামনে বসে ছিলেন আচ্ছেলাল। সেখানে জমায়েত করে তাঁর সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন অনুগামীরা। কেন হঠাৎ সাংসদের সঙ্গে তর্কাতর্কি জড়িয়ে পড়লেন? তৃণমূল পরিচালিত কানাইপুর পঞ্চায়েতে প্রধানের বিস্ফোরক অভিযোগ, 'হুগলিতে দায়িত্ব নিয়ে দলটাকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের বদনাম করছেন তিনি। সক্রিয় কর্মীদের সরিয়ে দিতে চাইছেন, যাতে বিজেপির সুবিধা হয়'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'সাংসদ হয়তো কাল দল ছেড়ে চলে যাবেন। আমি তৃণমূলেই থাকব'। উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে আচ্ছেলাল যাদবের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও শঙ্কুদেব পণ্ডা।