নিজস্ব প্রতিবেদন:  'সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। পিঠ বাঁচাতেই পদত্যাগ করেছেন'।  চন্দননগরের CP-র পদ থেকে হুমায়ুন কবীরের ইস্তফা দিয়ে এমনই বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায় (Locket Chatterjee)। চন্দননগরের তেলেনিপাড়ায় সংঘর্ষে কথা উল্লেখ করে সদ্য প্রাক্তন পুলিস কমিশনারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে খবর, চাকরি মেয়াদ প্রায় ফুরিয়েই এসেছিল। অবসর নেওয়ার কথা ছিল এপ্রিলে। তার আগে আচমকা কেন পদত্যাগ করলেন চন্দননগরের পুলিস সুপার (CP)?  ২০০৩ ব্যাচের আইপিএস হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো ইস্তফা পত্রে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, ব্য়ক্তিগত কারণেই এই পদত্যাগ। কিন্তু তাতেও জল্পনা থামছে না। বরং বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কর্মজীবন থেকে ইস্তফা দিয়ে কি রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন হুমায়ুন কবীর? যদিও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি চন্দনগরের সদ্য প্রাক্তন পুলিস কমিশনার। উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা দাস। এই পরিস্থিতিতে হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)।


আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে ওয়াই ক্যাটগরির নিরাপত্তা নিয়ে শান্তিপুরে ফিরলেন দলত্যাগী বিধায়ক


উল্লেখ্য, বাম আমলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন হুমায়ুন কবীর। একাধিক বাহুবলীকেও জব্দ করেছেন দুঁদে পুলিস অফিসার। মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার থাকার সময়ে একটি ধর্ষণের মামলা নিয়ে বিতর্কে জড়ান হুমায়ুন। এমনকী, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এই পুলিসকর্তাকে বদলি করা হয় ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সদর ) পদে। সেখানে বেশ কয়েকদিন কাটিয়ে কলকাতা পুলিসে যুগ্ম কমিশনার (প্রশাসন) পদে যোগ দেন তিনি। এরপর চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হিসাবে যোগ দেন। হুমায়ুন কবীর পদত্য়াগ করার পর এদিন চন্দননগরের পুলিস কমিশনারের দায়িত্ব নেন গৌরব শর্মা।