পঞ্চায়েত ভোটে বেআইনিভাবে অর্থ ব্যবহারের অভিযোগে ধৃত মুকুলের ছায়াসঙ্গী
দশ লক্ষ টাকা নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন দুই বিজেপি নেতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত ভোটে বেআইনিভাবে টাকা ব্যবহারের অভিযোগে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গীকে গ্রেফতার করল পুলিস। জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার জানিয়েছেন, ধৃতকে জেরা করেই সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দশ লক্ষ টাকা নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন দুই বিজেপি নেতা। আলিপুরদুয়ারে একটি হোটেলের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন জলপাইগুড়ির জেলা বিজেপির সহ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ ও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সহ সভাপতি রাজু ঘোষ।বিজেপি রাজ্য সভাপতি মুকুল রায়ের দাবি, কমিশনকে ওই টাকার হিসেব দিয়ে দেবেন তাঁরা।
জলপাইগুড়িতে সাত লক্ষ টাকা প্রতারণার ঘটনায় প্রবাল রাহাকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর ধৃতকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, বিজেপির প্রচারে বেআইনিভাবে প্রচুর টাকা দিয়েছেন মুকুলের ছায়াসঙ্গী প্রবাল। তাঁকে জেরা করেই আলিপুরদুয়ারে এক আরএসএস প্রচারক শুভঙ্কর ঘোষের সূত্র মেলে। পুলিসের জেরায় শুভঙ্কর স্বীকার করেছেন, প্রবাল রাহার কাছ থেকে অর্থ পেয়েছেন তিনি। প্রবাল রাহা কোথায় কোথায় টাকা দিয়েছেন, তা জানতে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি।
জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ী প্রবাল রাহার থেকে তেরো লক্ষ টাকা নিয়ে আলিপুরদুয়ার যাচ্ছিলেন শুভঙ্কর ঘোষ। পথে কালচিনির বিজেপি নেতা অতুল সুব্বাকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। গোপন সূত্রে সেই খবর পায় জেলা পুলিস। এরপরই নাকা চেকিং শুরু হয়। তখনই দশ লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার করা হয় শুভঙ্কর ঘোষকে। সেসময় সেখানে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সহ সভাপতি রাজু ঘোষও। পুলিসের দাবি , ওই দশ লক্ষ টাকা আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে দেওয়ার জন্য আনা হচ্ছিল।
পঞ্চায়েত ভোটে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, সমস্ত লেনদেন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে করে বিজেপি। ভোটের মুখে ষড়যন্ত্র করে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- চলন্ত বাসে হস্তমৈথুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত, ফেসবুকে ছবি পোস্ট পুলিসের