Kunal Ghosh: `তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন শুভেন্দু, আমাদের কাছে খবর আছে`, দাবি কুণালের
কেন টিকিট দেওয়া হয়নি? কুণালের দাবি, অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড জেলায় দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ নেওয়ার পর থেকে প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাঁথি পুরসভার ভোটে অধিকারী পরিবারের কাউকেই টিকিট দেননি বিজেপি। পেছনে রয়েছে অধিকারী পরিবারের উপরে মানুষের ক্ষোভ। উনি নাকি রত্ন! সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই শুভেন্দু অধিকারী ও অধিকারী পরিবারকে নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুধু তাই নয় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন বলেও জল্পনা ভাসিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা।
পুরভোটের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তৃণমূল সমর্থদের মধ্যে যেমন অসন্তোষ রয়েছে তেমনি ক্ষোভ রয়েছে বিজেপির অন্দরেও। কাঁথি পুরসভার কোনও ওয়ার্ডেই প্রার্থী তালিকায় নেই অধিকারী পরিবারের কেউ। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলন কুণালকে(Kunal Ghosh) প্রশ্ন করা হয়, উত্তরপ্রদেশেও খেলা হবে স্লোগান তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এর সমালোচনা করে শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) বলেছেন, আগে পিসি-ভাইপোর খেলা সামলান। এনিয়ে কুণাল বলেন, শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি বিবিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। এতে তার কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে তিনি তৃণমূলে ফিরতে চান। কারণ কাঁথিতে অধিকারী পরিবারকে টিকিটই দেয়নি বিজেপি। উনি নাকি এত সব ভালো কাজ করেছেন। তার পরও টিকিট নেই।
কেন টিকিট দেওয়া হয়নি? কুণালের দাবি, অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড জেলায় দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ নেওয়ার পর থেকে প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে। তার জন্যই অধিকারী পরিবারের ডানা ছেঁটেছে বিজেপি। অধিকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে, মানুষের বিক্ষোভ চলছে। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে দল টিকিট দেয়নি। শুভেন্দু অধিকারী এবার বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলে তিনি অনেক সুবিধে ভোগ করতেন। সেই জায়গায় আঘাত করেছে বিজেপি। এবার তাঁর দম বন্ধ হতে শুরু করেছে। খবর পেয়েছি উনি তৃণমূলে ফেরার একটা দরজা খুলো রাখার চেষ্টা করছেন। এখন তাঁকে নানা কথা বলে দৃষ্টি আকার্ষণ করে ভেসে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন- স্কুল খুলে দেওয়া আশু প্রয়োজন, রাজ্য সরকারকে পরামর্শ নোবেলজয়ীর
শুভেন্দুর পরিবারকে টিকিট না দেওয়া নিয়ে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ওঁনারা ভেবেছিলেন ওনাদের পরিবারের লোকজনকে বিজেপি বিভিন্ন ক্ষমতা দেবে। তা দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি আদি বিজেপির লোকজনের প্রবল ক্ষোভ রয়েছে ওঁদের বিরুদ্ধে। এর পরে রয়েছে হারার ভয়। এর জন্যই ওদের চিকিট দেওয়া হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস নাকি ওঁকে সম্মান দেয়নি। এতদিন ওরা যা বলেছে সেটাই মেনে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ অধিকারী পরিবারের কেউ নেই কাঁথি পুরসভায়। ছেঁটে দেওয়া হল। এখন ওঁর মনে হতে পারে আগের পরিবারই ভালো ছিল। এখন এবার ওদের তরফে দরজা-জানালায় টোকা মারা শুরু হয়েছে।
অখিল গিরির ছেলে কাঁথি পুরসভায় টিকিট পেয়েছেন। অনেকে বলছেন অধিকারী পারিবার বেরিয়ে গিয়েছে। এবার গিরি পরিবার সেখানে ঢুকছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে কুণাল বলেন, ব্যাপারটা এমন নয়। কারণ অখিল গিরি ডাকসাইটে নেতা। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তাই এটা খুব বড় ব্যাপার নয়। শিশির, শুভেন্দুর পর জেলায় রাজনীতিতে কারা কত সক্রিয় তারা মানুষ জানেন। একটা পুরসভার প্রার্থী হওয়ার যোগ্যও অধিকারীদের মনে করেনি বিজেপি।