Midnapur: ডেঙ্গি বিজয় অভিযানে ধুন্ধুমার, কাউন্সিলরের সামনেই বেধড়র মার পুরকর্মীদের
Midnapur: যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই স্থানীয় সুরক্ষা সমিতির সদস্যদের বক্তব্য, প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান কাউন্সিলের স্বামী দাঁড়িয়ে থেকে এই গোলমাল করিয়েছে
চম্পক দত্ত: মেদিনীপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার । আর তারপরেই ওই এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ অভিযানে নেমেছে পৌরসভা ও স্বাস্থ্য দপ্তর । শনিবার সেই ডেঙ্গু নিয়েই রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিক ডলি চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয় প্রথমে এবং তারপরেই এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি।
আরও পড়ুন-'দুই দেশ, লক্ষ্য একই', প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে কী বললেন সুনক
এলাকা পরিদর্শন সেরে ফিরে আসার পরেই স্থানীয় কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় মানুষজন । আর সেই ক্ষোভ থেকেই স্থানীয় কাউন্সিলর এবং তার বিরোধী লোকজনের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি । আর দুয়ের মধ্যে পড়ে আক্রান্ত হন পৌরকর্মী ও আশাকর্মীরা । ক্ষোভের মাঝে পড়ে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পৌর কর্মী ও আশা কর্মীরা । আর গোলমালে কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছে বলে দাবি-দু পক্ষের । তার মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেই জানা যাচ্ছে।
এলাকার আশা কর্মীদের বক্তব্য স্থানীয় কিছু মানুষজন এলাকার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে গিয়েই মারধর শুরু । আর তাতেই গুরুতর আহত হয়েছেন স্প্রে ওয়ার্কার ও আশা কর্মীরা ।
মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খানের অভিযোগ, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা পৌরসভার কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছে। যারা ফিল্ডে নেমে কাজ করছে তাদের উপরে আক্রমণ। ফলে, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ হচ্ছে থানায় । পুরো প্রধানের অভিযোগ, যারা এলাকা নোংরা আবর্জনায় ভরিয়ে দিচ্ছে তারাই পৌর কর্মীদের মারধর করেছে। এই জিনিস বরদাস্ত করা যাবে না । ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং তারপরে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিস ।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই স্থানীয় সুরক্ষা সমিতির সদস্যদের বক্তব্য, প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান কাউন্সিলের স্বামী দাঁড়িয়ে থেকে এই গোলমাল করিয়েছে । কাউন্সিলর দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কোন কাজ করছিলেন না তাই প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে পেয়েই স্থানীয় সুরক্ষা সমিতির সদস্যরা অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন আধিকারিকের কাছে। আর সেখান থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। এরকমই দাবি স্থানীয় সুরক্ষা সমিতির সদস্য রাজেশ শর্মার।