`বাবুল বাচ্চা ছেলে`, আসানসোল মাতিয়ে বললেন মুনমুন সেন
যখন ছবির ফটোশপ করা হয়, তখনও খারাপ লাগে না।
কমলিকা সেনগুপ্ত: অভিনেত্রীদের কিছু খারাপ লাগে না। যখন ছবির ফটোশপ করা হয়, তখনও খারাপ লাগে না। প্রচারের ফাঁকে জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে নিজের মনের কথা জানালেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন।
বাঁকুড়ার গতবারের বিদায়ী সাংসদ মুনমুন সেন এবার আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
২০১৪-এ তিনি লড়াই করেছিলেন বাঁকুড়া থেকে৷ হারিয়েছিলেন প্রখ্যাত সিপিআই নেতা বাসুদেব আচারিয়াকে৷ এবার তাঁর কেন্দ্র বদল হয়েছে৷ লড়ছেন আসানসোল কেন্দ্র থেকে৷ রবিবার থেকেই শুরু করে দিয়েছেন প্রচার।
কখনও রিকশায় চেপে, কখনও হেঁটে প্রচার করছেন তিনি। তারকা প্রার্থীকে দেখতে উপচে পড়ে ভিড়।
গরমে এইভাবে প্রচার, কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখছেন মুনমুন সেন?
আমাদের প্রতিনিধিকে মুনমুন সেন জানালেন নিজের ডায়েট প্ল্যান। গরমে হালকা খাবারের ওপরই ভরসা রাখছেন তিনি। তাঁর ডায়াবেটিস রয়েছে। সেক্ষেত্রে হালকা খাবার আর খুব বেশি করে জল, ফ্রুট ড্রিঙ্কস ভরসা তাঁর।
অভিনেত্রী তারকাপ্রার্থী নিয়ে যখন কেউ খারাপ মন্তব্য করে, কতটা খারাপ লাগে তাঁর? এই প্রশ্নের উত্তরে সোজাসুজি মুনমুন সেনের জবাব 'না, খারাপ লাগে না'। তিনি বলেন, 'অভিনেত্রীদের কিছু খারাপ লাগে না। আগেও আমাকে নিয়ে সেনসেশনাল কথা বলা হত। তখনও খারাপ লাগত না। যখন দেখি আমার ছবি ফটোশপ করে বিকৃত করা হয়েছে, খারাপ লাগে না।'
তিনি বলেন, 'বিরোধীরা আমাকে নিয়ে খারাপ কথা বললে, আমার খারাপ লাগে না। আমি আমার কাজটা করি।' বাবুল সুপ্রিয় প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ''বাবুল বাচ্চা ছেলে। ভালো গান গায়। ও ওর মতো কাজ করবে, আমি আমার মতো।''
জেতার ক্ষেত্রে কি গ্যামার কাজ করে? প্রশ্নের উত্তরে মুনমুন সেন বলেন, "গ্যামার জানি না। তবে কালর কাজ করে। ব্যক্তিগত পরিচিতি খুব প্রয়োজন।" প্রচারে এরপর রাইমা, রিয়াও আসবেন বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, উন্নয়নই একমাত্র সমাজকে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, এবারও জিততেই এসেছেন তিনি। প্রতিপক্ষের জন্য কোনও কুকথা নয়, বরং জেতার জন্য নিজের কাজকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। মুনমুন সেনের এটাই হয়তো বৈশিষ্ট্য।