Murshidabad: কাজ চলছে `জলস্বপ্নে`র; আপাতত `আশঙ্কাজনক` অঞ্চলে পৌঁছে জলসঙ্কট মেটাচ্ছে পিএইচই-র জলগাড়ি
রাজ্যে ৪২টি ব্লকে আশঙ্কাজনক ভাবে নেমে গিয়েছে জলস্তর। সেগুলিকে `আশঙ্কাজনক` হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরও ৩০টি ব্লককে `অংশত আশঙ্কাজনক` হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় মুর্শিদাবাদের চারটি ব্লককে `আশঙ্কাজনক` এবং তেরোটি ব্লককে `অংশত আশঙ্কাজনক` হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গরম পড়তেই মুর্শিদাবাদের বেশকিছু এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র জলসঙ্কট। এই সঙ্কট মোকাবিলায় এবার পাড়ায় পাড়ায় পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করল রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর, তথা পিএইচই।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সরকারি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ৩৪৩টি ব্লকের মধ্যে ৪২টি ব্লকে আশঙ্কাজনক ভাবে নেমে গিয়েছে জলস্তর। সেগুলিকে 'আশঙ্কাজনক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরও ৩০টি ব্লককে 'অংশত আশঙ্কাজনক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় মুর্শিদাবাদের চারটি ব্লককে 'আশঙ্কাজনক' এবং তেরোটি ব্লককে 'অংশত আশঙ্কাজনক' হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। ব্লকগুলির অধিকাংশ এলাকাতেই পরিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা গিয়েছে। সেইসব গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় পানীয় জল পৌঁছে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পিএইচই।
জলস্তর নেমে যাওয়ায় পানীয়জল নিয়ে সঙ্কটে পড়েছিলেন সুতি ১ নম্বর ব্লকের নূরপুর, রমাকান্তপুরের মানুষজন। পানীয় জলের এই সঙ্কট মেটাতে সুতি ১ ব্লকে ২৫টি জোনে পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। পিএইচই দপ্তরের উদ্যোগে শনিবার শুরু হয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ। ট্যাঙ্কে করে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয় পাড়ায়-পাড়ায়। জল পেয়ে খুশি স্থানীয়রাও। নূরপুরের বাসিন্দারা জানান, গরম পড়তেই জলস্তর নেমে যাওয়ায় জলকষ্টে ভুগছিলেন তাঁরা। পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ায় নিশ্চিন্ত হয়েছেন গ্রামের মানুষ।
পিএইচই দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, জেলাজুড়ে 'জলস্বপ্ন' প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ পানীয় জল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ জোরকদমে চলছে। অনেক জায়গাতেই কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় সেই সব কল থেকে জল এখন পাওয়া যাচ্ছে না। ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে যাওয়ায় জল উঠছে না। এই সমস্যা যেখানে যেখানে হচ্ছে, সেই এলাকগুলি চিহ্নিত করে সেই সেই অঞ্চলে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, আগামি দিনেও হবে।
আরও পড়ুন: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ১২৫: 'গঙ্গোত্রী' ছাড়িয়ে নিরন্তর বইছে রামকৃষ্ণ-ভাবগঙ্গার অনন্ত আনন্দধারা