নিজস্ব প্রতিবেদন : পারিবারিক বিবাদের জেরে 'আত্মঘাতী' অষ্টাদশী মা। মৃতার নাম মৌপ্রিয়া ছাতিক। ১৮ বছরের যুবতীর ১০ মাসের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। তবে মৌপ্রিয়া ছাতিক সত্যিই আত্মঘাতী হয়েছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে? তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দুয়েক আগে ঘাটালের খড়ার শ্যামসুন্দরপুরের বাসিন্দা ছোটু ছাতিকের সঙ্গে বিয়ে হয় ঘাটালের হেমন্তপুরের বাসিন্দা মৌপ্রিয়া ছাতিকের। দম্পতির একটি পুত্র সন্তানও হয়। কিন্তু সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। মৃতার বাপেরবাড়ির লোকের অভিযোগ, আজ বিকেলে তাঁরা খবর পান যে তাঁদের মেয়ে 'আত্মঘাতী' হয়েছে। মৃতদেহ ঘাটাল হাসপাতালে রয়েছে। যদিও ঢিলছোঁড়া দূরত্বে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কোনও খবর-ই দেননি। এদিকে তাঁরা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন যে, সকাল ১০টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে মৌপ্রিয়ার। ঘাটাল হাসপাতালে দেন নিয়ে আসার পরই পালিয়ে গিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। 


এই পরিস্থিতিতে এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে মৃতার আত্মীয়-পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, মৌপ্রিয়াকে খুন করা হয়েছে। ভাইফোঁটার দিনই তাঁরা মেয়ের কথায় অশান্তির আঁচ পেয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন যে, মেয়ে ভালো নেই। সংসারে মাঝেমধ্যেই চরম অশান্তি হচ্ছে। কিন্তু কী কারণে, সে সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহল নন। এরপরই আজ মেয়ের 'আত্মঘাতী' হওয়ার খবর। আর তাতেই তাঁদের সন্দেহ দানা বাঁধছে। ঢিলছোঁড়া দূরত্বের মধ্যে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি হওয়া সত্ত্বেও কেন মৌপ্রিয়ার স্বামী ছোটু থেকে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির কেউই তাঁদের কোনও খবর দেননি? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। 


ইতিমধ্য়েই মৃতার বাপেরবাড়ির তরফে ঘাটাল থানায় পুরো বিষয় জানিয়ে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘাটাল থানার পুলিস। পাশাপাশি, এই বিষয়টাও সামনে আসছে যে, নাবালিকা অবস্থাতেই বিয়ে হয়েছিল মৌপ্রিয়ার।


আরও পড়ুন, Newtown Murder: পরকীয়ায় অশান্তি, নাবালক ছেলের সামনেই মাকে কুপিয়ে খুন বাবার


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)