নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য সরকারের বারবার হুঁশিয়ারির পরেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিত্সা করতে অস্বীকার করল হাসপাতাল। ফিরল রেফার বিতর্কও। একবালপুরের একটি নার্সিং হোম আহত কিশোরকে ভর্তি নিলেও দাবি করল নগদ টাকা। শেষপর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল টোটোর ধাক্কার রক্তাক্ত কিশোরকে। সেখানে আপাতত পর্যবেক্ষণে ওই  কিশোর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- জেলা সভাপতি সহ ১৪ জনকে শো-কজ, বর্ধমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কড়া পদক্ষেপ বিজেপির



রবিবার সকালে টোটোতে ধাক্কা মারে নামখানার কিশোর অতনু শিটকে(১৬)। রক্তাক্ত অবস্থা তাকে পাড়ার লোকজন প্রথমে নিয়ে যায় কাকদ্বীপের সরকারি হাসপাতালে। সেখানে একটি এক্স রে করে জানানো হয় কিডনিতে রক্ত জমেছে। কাকদ্বীপ থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ডহারবারের সরকারি হাসপাতালে। দুজায়গাতেই বলা হয়, কিডনিতে আঘাত লেগেছে অতনুর। এখানে চিকিত্সা হবে না। রেফার করে দেওয়া হয় দুই জায়গা থেকেই।


শেষপর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালকের পরামর্শে তাকে আনা হয় একবালপুরের নেতাজি সুভাষ নার্সিং হোমে। সেখানে ওই কিশোরকে ভর্তি নিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু যখনই কর্তৃপক্ষ জানতে পারে স্বাস্থ্য সাথী(Swasthya Sathi) কার্ডে চিকিত্সা হবে তখনই তারা জানিয়ে দেয় ওই কার্ডে চিকিত্সা হবে না। দিতে হবে নগদ অর্থ। ইতিমধ্যেই নার্সিং হোম থেকে ১০ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে। ১৩০০ টাকা লেগেছে ওষুধে। এছাড়াও রয়েছে এক্স রে করার খরচ। দিন আনি দিন খাই অতনুর পরিবারের পক্ষে ওই টাকা দেওয়া অসম্ভব বলে জানালেন প্রতিবেশীরা।


আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর 'পরীক্ষা'য় ফার্স্টবয় যোগী, থার্ড দিদি 


নেতাজি  সুভাষ নার্সিং হোম থেকে অতনুর প্রতিবেশীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, রোগীর কিডনিতে রক্ত জমেছে। এক্ষুনি অস্ত্রোপচার না করলে মারাও যেতে পারে রোগী। কার্ড ছাড়া বিপুল নগদ দিয়ে চিকিত্সা করার কোনও সামর্থ নেই অতুনুর। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাকে নিয়ে এসএসকেএম(SSKM)হাসাপাতেল ছোটেন প্রতিবেশীরা। সেখানে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে আহত কিশোরকে।