Bankura: নারদমুনির পুজো চলছে মহা সমারোহে! কেন জানলে চমকে উঠবেন...
Bankura: বাঁকুড়ার পশ্চিম রতনপুর এলাকার বেকার তরুণ-তরুণীরা চাকরির খবর পাওয়ার আশায় এবং বেকারত্বের জ্বালা দেবলোকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শুরু করেন এই নারদপুজো।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জগতের প্রথম সাংবাদিক বলা হয় নারদ মুনিকে। রামায়ণ এবং ভগবত পুরাণে বারবার এই ঋষির উল্লেখ পাওয়া যায়। হাতে করতাল আর বীণা। নারায়ণের প্রধান ভক্ত তিনি। সর্বত্র ছড়িয়ে দেন নারায়ণ-নারায়ণ ধ্বনি। কেন এই নারদ-কাহন? কারণ হল, বাঁকুড়ায় এই ছট আর জগদ্ধাত্রী পুজোর আবহে চলছে নারদপুজো।
আরও পড়ুন: Malbazar: ছট পেরিয়ে গেল, এখনও পরিষ্কার হল না নদীঘাট...
বাঁকুড়ার পশ্চিম রতনপুর এলাকার বেকার তরুণ-তরুণীরা চাকরির খবর পাওয়ার আশায় এবং বেকারত্বের জ্বালা দেবলোকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শুরু করেন এই নারদপুজো। বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে এই পুজো। এ বছর এই নারদ পুজো পঞ্চম বর্ষে পড়ল। কিন্তু দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী, জগদ্ধাত্রী পুজোর মতো পুজো ছেড়ে হঠাৎ নারদ পুজোয় মাতামাতির কারণ কী?
জানা যায়, চলতি কয়েক বছরে নানা সংকট ঘনিয়েছে। জমির ধান নানা কারণে নষ্ট হয়েছে। চাকরির রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দিন দিন বেড়ে চলেছে বেকারত্বের জ্বালা। এই পরিস্থিতিতে তাই তারা নারদ পুজো শুরু করেন।
আরও পড়ুন: Murshidabad: কোয়েলের ভাইফোঁটা দীর্ঘদিন 'নিখোঁজ' সুজয়কে ফিরিয়ে দিল মায়ের কোলে...
পুরাণমতে, দেবর্ষি নারদ নিজের ইচ্ছামতো যত্রতত্র গমন করতেন এবং সব জায়গায় অবাধ যাতায়াত তাঁর। প্রয়োজন মনে করলে তিনি সব ব্যপারেই হস্তক্ষেপ করতেন। নারদ যদি এই ক্ষেত্রেও তাই করেন, তবে অতি সহজেই তাদের সমস্যার কথা দেবলোকে পৌঁছবে। পৌঁছবে অন্যদের কাছেও। যত দিন যাচ্ছে তত আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পুজো। তিন দিন ধরে চলছে মেলা ও নাচ-গানের উৎসব।