জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। ওই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার পাওনা টাকা নিয়ে সরব হবেন তা ধরেই নেওয়া যায়। তার ঠিক একদিন আগেই শিলিগুড়ির সভা থেকে এনিয়ে সরব হলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সোজাসাপটা অভিযোগ ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে গরিব মানুষের টাকা তুলে নিয়েছে তৃণমূলের লোকজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'দুর্বৃত্তের দল তৃণমূলকে একটিও ভোট নয়', ৪২ আসনেই জেতার চ্যালেঞ্জ বিজেপি 'কর্মী' গাঙ্গুলির!


শনিবার শিলিগুড়ির কাউয়াখালির সভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, সরকার চায় না দেশের কোনও গরিব পরিবারের শিশু খালি পেটে ঘুমাতে যাক। তাই সরকার ফ্রি রেশন চালু করেছিল। আগামী ৫ বছর সেই ফ্রি রেশন চালু থাকবে। সেই রেশনের টাকা জালিয়াতি করেছে তৃণমূল। রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এখন জেলে। সাধারণ মানুষকে বিনামূল্য স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে গিয়ে কেন্দ্র চালু করেছিল আয়ূষমান ভারত। বাংলায় তা চালু করতে দেয়নি তৃণমূল সরকার। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তৃণমূল সরকার লুঠপাট করেছে। নিজেদের তোলবাজদের লাভের জন্য ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে তা বিলি করেছে। মোদী সরকার গরিব মানুষদের জন্য টাকা পাঠায় আর টিএমসি সেই টাকা তোলাবাজদের দিয়ে দেয়। আপনাদের কথা ভাবেই না তৃণমূল।


এদিন সভায় কিছুটা দেরি এসে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। এরর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সভায় আসার আগে ১২ কিলোমিটার এলাকায় মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে গাড়ি ধীরে চালাতে হয়েছে। এদিনের সভায় মোদী বলেন, গরিব মানুষের জন্য উজ্জবলা যোগনায় গ্য়াস দিয়েছি। তৃণমূল সরকার রাজ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষকে সেই সুবিধে থেকে বঞ্চিত রেখেছে। এখন সেই গ্যার দাম ১০০ টাকা কমে গিয়েছে।


সন্দেশখালির প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালিতে দলিত, আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে কী হয়েছে তার আলোচনা গোটা দেশে হচ্ছে। দেশ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকার নিয়েছে। অয়োধ্য়ায় রামমন্দিরের নির্মাণ, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত আগে কেউ ভাবেইনি। উত্তরবঙ্গে এখানে পর্যটন ও কাঠের ব্যবসার উন্নতিতে কাজ করছে কেন্দ্র সরকার। চা উত্পাদেনর জন্য ৪০ হাজার চা উত্পাদকারীর স্বাস্থ্য দেখার জন্য তৈরি বিজেপি। চা শ্রমিকদের জন্য কিষাণ কের্ডিট কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সরকারের আমলে গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠে এসেছে। এসব ভাবার সময় নেই তৃণমূলের। কারণ সে ভাইপোকে নিয়েই ব্যাস্ত, কংগ্রস ব্যাস্ত শাহি পরিবারের সন্তানদের নিয়ে। আপনাদের কথা কথা ভাবে একমাত্র বিজেপি।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)