নিজস্ব প্রতিবেদন : 'মাঠ রাজনীতি'কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সরগরম ডানলপ। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ডানলপ মাঠে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিকে আজ সকালেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, একই মাঠে ২৪ তারিখ মোদীর পাল্টা সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তারপরই দুই দলের তরফে মাঠ পরিদর্শনকে ঘিরে চরমে উত্তেজনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


একদিকে সকাল থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের তরফে জানানো হয় যে সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি আসছেন ডানলপ (Dunlop) মাঠ পরিদর্শনে। সেই মত মাঠ ও মাঠ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কারের কাজও শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব। অপরদিকে একই সময়ে মাঠ পরিদর্শন করতে আসার কথা ঘোষণা করে তৃণমূল নেতৃত্বও। তৃণমূলের তরফে বিধায়ক ও মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র ও জেলার সভাপতি দিলীপ যাদব মাঠ পরিদর্শনে আসার কথা ঘোষণা করে শাসকদল। এর খানিক পরই দেখা যায় 'অভিনব' দৃশ্য! একইসময়ে ডানলপ মাঠ পরিদর্শনে উপস্থিত দুই পক্ষের প্রতিনিধি-ই। 



তৃণমূলের (TMC) তরফে উপস্থিত জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। ওদিকে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিও। এখন মুখ্যমন্ত্রীর সভা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, "এটা কোনও পাল্টা সভা নয়। দলনেত্রী সব জেলাতেই সভা করছেন। তাদের পরিকল্পনাতেই ছিল এই জেলায় এই মাসেই সভা করার। আর জেলায় বড় মাঠের সংখ্যা খুবই কম। তাই ডানলপ মাঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এটা কোনও পাল্টা সভা নয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই এই সভা হচ্ছে।"



যদিও বিষয়টিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, "শাসকদলের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই তাঁরা যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁদের অনুসরণ করছে তৃণমূল। তবে যতই নকল করুন না কেন, আগামী বিধানসভা ভোটে মানুষ বুঝিয়ে দেবে যে নকল করেও মিলবে না কোনও ফল! সর্বোপরি এই সভাস্থলেই আগামী ২২ তারিখ যে জনপ্লাবন হতে চলেছে, সেটাই প্রমাণ করে দেবে মানুষ কার পক্ষে।"


এখন মাঠ পরিদর্শনে দুই দলের প্রতিনিধি সহ ডানলপ মাঠে উপস্থিত আছেন উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরাও। আছেন CRPF-এর অধিকর্তারাও। ডানলপ (Dunlop) মাঠে মোদী-মমতার (Narendra Modi) সভা প্রসঙ্গে কথায় কথায় উঠে আসছে 'খেলা হবে'র প্রসঙ্গও। যে বিষয়ে রাজ্য বিজেপি সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহর বক্তব্য, "খেলাটা শাসকদলের একান্ত আপন। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা। রাজ্য নিয়ে খেলা। এইসব করেই তাদের মুখে শোভা পাচ্ছে খেলা হবের মত স্লোগান। বিজেপি মানুষের সেবাতে বিশ্বাসী। তাই তাদের কাছে সেবাটাই আসল, খেলা নয়।" 


আরও পড়ুন, ভোটে দাঁড়াচ্ছেন সাধন কন্যা, বসিরহাট দক্ষিণে প্রার্থী হচ্ছেন শ্রেয়া পান্ডে?


বক্সে তারস্বরে বাজছে 'খেলা হবে', তৃণমূলের অনুষ্ঠানে ছেলেবুড়োর উদ্দাম ডিজে ড্যান্স