নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝে আর একটা দিন। সোমবারই কৃষক কল্যাণ সমাবেশে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গে আনছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিম মেদিনীপুর সফরের আগে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবতীয় আয়োজন। সভামঞ্চ তৈরি থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা, সবেতেই শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে কৃষকদের সামনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার দু'দিন আগে প্রকাশিত হল সফরসূচি। সফরসূচি অনুসারে সোমবার সকাল ৯.৫৫ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বায়ুসেনার বিমানে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১.৫৫ মিনিটে কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করবে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে বেলা ১২.২০তে মেদিনীপুর শহরের হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে প্রধানমন্ত্রী বিমান। বেলা ১২.৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে পৌঁছনোর কথা। 


বেলা ১২.৩০ মিনিট থেকে বেলা ১.১৫ মিনিট পর্যন্ত সেখানে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রীর মোদীর। ফের একই পথে বেলা ১.৫৫ মিনিটে কলাইকুন্ডা থেকে দিল্লির বিমানে উঠবেন তিনি। 


প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে মেদিনীপুর শহর। বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিশেষ নজরদারি। প্রধানমন্ত্রীর সফর নির্বিঘ্ন করতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন। ওদিকে সভায় লোক ভরাতে ময়দানে নেমেছেন বিজেপি নেতারা। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে বিঁধতে ছাড়ছেন না স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। 


২০১৯ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতে বিজেপির শক্তি বাড়াতে চাইছে বিজেপি। পূর্ব ভারতে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছেন মোদী-শাহ। এই দুটি রাজ্যেই বিজেপি 'নবাগত' শক্তি। উত্তরপ্রদেশে পিসি-ভাইপোর মহাজোট হলে ধাক্কা খাবে গেরুয়া শিবির। সেই ধাক্কার লোকসান পুষিয়ে নিতে অন্যত্র নজর দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর সে কারণেই ২ দিনের বাংলা সফরের পর ফের অগস্টের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। তার আগে ১৬ জুলাই অর্থাত্ জনসভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। উপলক্ষ কৃষকরা হলেও আদতে বঙ্গে লোকসভার ভোটের দামামা বাজাবেন নমো, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।


আরও পড়ুন- দুর্নীতির দায়ে জেলে মোদীর 'বন্ধু', টুইটে খোঁচা কংগ্রেসের