ওয়েব ডেস্ক: প্রবল বর্ষণের জেরে বন্যায় ভাসছে গোটা উত্তরবঙ্গের তিন জেলা। নজিরবিহীন ভাবে এবার বন্যার কবলে দুই দিনাজপুর। বালুরঘাট, ইটাহার থেকে চোপড়া, জল থই থই চারিদিক। বর্ষাকালে উত্তরবঙ্গে বন্যা কোনও নতুন খবর নয়। কিন্তু ‌দিনাজপুর ও লাগোয়া বিহারের কিষানগঞ্জ ও পূর্ণিয়ায় এমন প্লাবন বেনজির। জল নামতে করুণ দশা হয়েছে মালদারও। ‌যদিও উত্তরবঙ্গে এই অস্বাভাবিক বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছিল নাসা। নাসার প্রকাশ করা উপগ্রহচিত্রে স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছিল ১১-১৬ অগস্টের মধ্যে আকাশভাঙা বৃষ্টি হতে চলেছে হিমালয়ের পাদদেশে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাসা ও জাপানি মহাকাশ সংস্থার ‌যৌথ উদ্যোগে গোটা বিশ্বজুড়ে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয় গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মেজারমেন্ট মিশন স্যাটেলাইট। ১১-১৬ অগস্টের মধ্যে বিহার লাগোয়া নেপালের তরাই, পশ্চিমবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্স এবং বাংলাদেশের রংপুরে প্রবল বর্ষণের সতর্কবার্তা জারি করেছিল তারাই। প্রকল্পের ওয়েবসাইটের প্রথম পাতায় 'চরম সতর্কতা' শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল সেই প্রতিবেদন। সাত দিনে ৩০০-১০০০ মিলিমিটার বর্ষণের পূর্বাভাস জারি করেছিল তারা।


উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় গত ৭ দিন ধরে বানভাসি কয়েক কোটি মানুষ। একই পরিস্থিতি লাগোয়া বিহারের তিন জেলারও। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের রংপুর, লালমুনিরহাটও ভাসছে। প্রবল বর্ষণে ৬ দিন ধরে বন্ধ এলাকার সবক'টি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ।