৩ দিন পর নিখোঁজ ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল পরিত্যক্ত জলাশয়ে, অভিযুক্ত পড়শি যুবক
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে। যার থেকে নিশ্চিত, কোনও ধারানো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে তাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবেশী যুবকের কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি কিশোরী। সেই আক্রোশে ওই ওই কিশোরীকে অপহরণ করে তাকে খুনের অভিযোগ উঠল পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার চাকদায়। মৃত কিশোরী বর্ষা দাস দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত ছিল। বয়স ১৭ বছর।
চাকদার মদনপুরের আলাইপুরে থাকত বর্ষা। অভিযোগ, পড়শি যুবক অজয় দাস ওরফে ছোটন রাস্তাঘাটে বর্ষাকে একা পেলেই উত্যক্ত করত। নানারকম কটূক্তি করত। কুপ্রস্তাব দিত। মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ছোটনই খুন করেছে বর্ষাকে।
আরও পড়ুন, মেয়েকে নিয়ে ফেরার সময় বোমার আঘাতে খুন তৃণমূল নেতা
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে মদনপুরে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বর্ষা। কিন্তু তারপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ ছিল বর্ষা। অবশেষে রবিরার চাকদা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বর্ষার বাড়ির লোক। শুরু হয় খোঁজ।
আরও পড়ুন, ডেঙ্গিতে মৃত্যু স্কুল শিক্ষিকার, সিঁদুরে মেঘ দেখছে দেগঙ্গা
অবশেষে সোমবার দুপুরে চাকদা থানার কামালপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জলাশয়ের মধ্যে থেকে বর্ষার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বর্ষার দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে। যার থেকে নিশ্চিত, কোনও ধারানো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন, যোগীর বিরুদ্ধে কেন আইনি পদক্ষেপ করা হবে না, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
এই ঘটনায় প্রতিবেশী অজয় দাস তথা ছোটনের বিরুদ্ধে চাকদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। বর্ষার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অজয় দাসকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই খুনের পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।