নিজস্ব প্রতিবেদন: দেহগুলির তখন আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। চৌবাচ্চা থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি কঙ্কাল। তাহলে কি জলে অ্যাসিড মিশিয়ে দেহ লোপাটের পরিকল্পনা ছিল? কালিয়াচককাণ্ডে ফের নয়া তথ্য। অভিযুক্তের ল্যাপটপ ও মোবাইল দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুন ও খুনের পর দেহ লোপাটের পদ্ধতি নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করেছিল আসিফ। বাড়ির গুদাম ঘর থেকে বেশ কয়েকটি রাসায়নিক ভর্তি ড্রামও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্তে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কালিয়াচক কাণ্ডে অভিযুক্ত মহম্মদ আসিফ প্রায় দু'বছর নিখোঁজ ছিল। সিআইডি-র গোয়েন্দাদের অনুমান, তার সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা অন্য কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ থাকতে পারে। এমনকি সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত কোনও আন্তর্জাতিক আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংয়ের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে মহম্মদ আসিফ। এমনকী, অভিযুক্তের মগজঝোলাইয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বরং ১৯ বছর বয়সী একটা ছেলে যেভাবে পুলিসকে ঘোল খাওয়ানোর চেষ্টা করছে, কোনও সাধারণ মানুষের কাজ নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন: মালবাজার পুলিসের তৎপরতায় গ্রেপ্তার অস্ত্র-সহ ১ যুবক, নেশার সামগ্রী-সহ গ্রেপ্তার আরও এক


এদিকে আবার বাড়ির নকশাটিও বিভিন্ন গোয়েন্দা এজেন্সির কাছে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। একই নকশার বাড়ি অন্য কোথাও আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন? গোয়েন্দাদের মতে, এইরকম বাড়ি তৈরি পরিকল্পনা কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়, এর পিছনেও বড় পরিকল্পনা থাকতে পারে! সেক্ষেত্রে বাড়ির নকশা তৈরির সূত্র পাওয়া গেলে, তদন্তে  অনেকটাই অগ্রগতি হবে।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)