নিজস্ব প্রতিবেদন: রাস্তা সম্প্রসারণ করা হবে। এর সেই কারণেই কার্যত বলি দেওয়া হল কয়েক হাজার গাছ। বাগরাকোট থেকে সিল্ক রুট পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে ২২০ কিলোমিটার রাস্তা। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে যাবে ৬৭ কিলোমিটার। তারজন্য কাটা পড়বে প্রায় ৫ হাজার গাছ। এতেই উদ্বিগ্ন বন এবং পরিবেশ দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: যমুনার দুর্গন্ধ যেন ট্রাম্পের নাকে না যায়, নদীতে ছাড়া হল ৫০০ কিউসেক জল


চিন সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে দিল্লি। তার জন্য মাল ব্লকের কালিম্পং জেলার সীমানা লগোয়া বাগরাকোট থেকে চুইখিম, চারকোল, আলগাড়া হয়ে সিকিমের নাথুলা পাসের সিল্ক রুট পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তা।মূলত সেনা সরঞ্জাম দ্রুত সীমান্তে পৌঁছে দিতেই ২২০ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা তৈরি হচ্ছে ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের অধীনে। এরমধ্যে ৬৭ কিলোমিটার রাস্তা পড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। পাঁচ ধাপে তৈরি হবে রাস্তা। প্রথম পর্যায়ে তৈরি হচ্ছে ১৩ কিলোমিটার রাস্তা। তারজন্য কাটা পড়ছে ১০৯৮ গাছ। যার মধ্যে ৪৫০ গাছ ইতিমধ্যেই কাটা পড়েছে। বাকি গাছ পড়ে কাটা হবে।


আরও পড়ুন: সাত দিনে ঘর ছাড়ুন, ট্রাম্পের সফরের আগে মোতেরার বস্তিতে এল উচ্ছেদের নোটিস
 


এর আগেও হাজার আকুতিতেও নড়েনি টনক। বিশ্বজুড়ে যখন পরিবেশ রক্ষার স্লোগান সোচ্চার অনেকেই, তার মাঝেই কাটা পড়ছে একের পর এক সবুজ অংশ। এর আগেও গাছ কেটের ফেলার জন্য শিরনামে এসেছিল মুম্বই। মেট্রোরেল কার শেডের জন্য মুম্বইতে ২,৬০০ গাছ কাটার অনুমোদন দেয় বম্বে হাইকোর্ট।


বাণিজ্যনগরীর আরে কলোনি এবং তার সঙ্গে সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যান যোগ করে কারশেডের করিডর নির্মাণের জন্য বিস্তীর্ণ জমি অধিগ্রহণ করে মুম্বই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার জন্য মুম্বইয়ের এই অঞ্চলের ২,৬০০ গাছ কাটার পরিকল্পনা করা হয়। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পরিবেশবিদ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের রুখতে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে মুম্বই পুলিস। আটকে দেওয়া হয়েছে কলোনিতে ঢোকার প্রতিটি রাস্তা। তবু বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাতে থাকে স্থানীয় মানুষ।


তবে এভাবে পরের পর গাছ কাটায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবেশপ্রেমিরা। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী একটি গাছ কাটলে ৫ গাছ লাগাতে হয়। গাছ লাগানোর খরচ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই বহন করতে হয়। নতুন রাস্তা তো তৈরি হবে। কিন্তু পরিবেশ বাঁচাতে নতুন করে গাছ লাগানো হবে তো? এখন আপাতত এ প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে মালবাজারবাসীর মনে।