নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের কোপে পড়ে অনাহার, অর্থাভাব তো রয়েইছে প্রাণও দিতে হল বহু শ্রমিককে। করেনারা হাত থেকে পালাতে গিয়ে অনাহারে, পথের ক্লান্তিতে মৃত্যুর ঘটনা প্রয়াই শোনা গল গত এক মাসে। বিহারের মুজাফফরপুরের পর এবার শ্রমিক স্পেশালে মৃত্যু হল এরাজ্যের এক শিশুর। বয়স মাত্র ১৭ দিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কোভিড হাসপাতালে কাজ বন্ধ করলেন শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক, অচলাবস্থা সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে


কেরল থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পুরুলিয়া ফেরার পথে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। মৃত সন্তান-সহ পুরুলিয়ার ওই দম্পতিকে খড়গপুর স্টেশনে নামিয়ে গন্তব্যে চলে যায় ট্রেন। এখন ময়নাতদন্ত হবে মৃত শিশুটির।


জানা গিয়েছে পুরুলিয়ার জয়পুর থানার পালিত গ্রামের বাসিন্দা দিলদার আনসারি ও তার স্ত্রী রেশমা খাতুন কেরলে গিয়েছিলেন কাজের খোঁজে। সেখানে আটকে পড়েন লকডাউনে। গত ২৫ মে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রেশমা। নাম রাখেন রাজিয়া।


গত সোমবার কেরল থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী শ্রমিক স্পেশাল ধরেন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। ওড়িশার বেরহামপুর থেকে বালেশ্বরের মাঝে জানতে পারেন কোলের শিশুটি আর সাড়া দিচ্ছে না। তখন রেলের আধিকারিকদের খবর দিলে তারা মৃত শিশু-সহ পরিযায়ী দম্পতিকে নামিয়ে দেয় খড়গপুর স্টেশনে। সেখানে রেল পুলিশ মৃতদেহ সংগ্রহ করে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।


শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ময়নাতদন্তের পর শ্রমিক দম্পতিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরুলিয়ায় পাঠানো হবে।


আরও পড়ুন-আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে গেল দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির,  এখনই পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা


উল্লেখ্য, গত ২৯ মে এরকমই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বিহারের মুজাফফরপুর স্টেশনে। সেখানে এক মহিলার মৃতদেহ স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় ট্রেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল সেই মর্মান্তিক ছবি। দেখা যাচ্ছে। মৃত মায়ের চাদর টেনে তোলার চেষ্টা তাঁর বছর দুয়ের শিশু সন্তান।


গুজরাট থেকে ট্রেনে চেপেছিলেন সেই মহিলা। তখন তাঁর কোনও অসুস্থতা ছিল না। দুদিন খাবার, জল জোটেনি। তার উপর প্রবল গরম। তাতে ট্রেনেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। কিন্তু রেল সেসব যুক্তি শুনতে নারাজ। ওই মহিলার মৃত্যুর ছবি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই ভারতীয় রেলকে ট্যাগ করে রিটুইট করছিলেন। রেল তাতেই বাধ্য হয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এদিকে, মুজফফরপুরে আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ ওই একই।