নিজস্ব প্রতিবেদন-  মুর্শিদাবাদ থেকে এর আগে ছজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল এনআআইএ। এবার আরও এক জঙ্গি সেই মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকেই গ্রেফতার হল।  মুর্শিদাবাদ থেকে ছজন ও কেরল থেকে তিনজন আল কায়দা ইন্ডিয়ান মডিউল-এর জঙ্গিদের পাকরাও করেছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। এবার দশ নম্বর জঙ্গি শামিম আনসারিকে জলঙ্গি থানার নওদাপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। প্রথমে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে ২৫ বছর বয়সী আনসারি। তার পরই জেরার মুখে সে স্বীকার করে, আল কায়দার মডিউলে অ্যাক্টিভ মেম্বার হিসাবে কাজ করত। রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-এর সাহায্যে আনসারিকে আটক করেছিল এনআইএ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লিতে এনআইএ কোর্টে আনসারিকে তোলা হবে। সিজেএম মুর্শিদাবাদ কোর্ট আনসারি্র ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এই নিয়ে দেশে আল কায়দা মডিউলের দশ নম্বর জঙ্গি ধরা পড়ল। আর প্রত্যেকেই জেরার মুখে স্বীকার করেছে, দেশের বিভিন্ন অংশে নাশকতামূলক কাজ করার জন্য ছক কষছিল তারা। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর মোট নজন জঙ্গিকে বাংলা ও কেরল থেকে পাকরাও করেছিল এনআইএ। দিল্লি-এনসিআর, কোচি, মুম্বইসহ দেশের একাধিক জায়গায় নাশকতামূলক কাণ্ড ঘটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল আল কায়দার এই মডিউল। পাকিস্তানের আল কায়দা মডিউল-এর সঙ্গে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া মারফত যোগাযোগ ছিল বলে জেরায় জানিয়েছে আনসারিও। আরও তথ্য পাওয়ার জন্য জেরা করছেন এনআইএ-র কর্তারা।


আরও পড়ুন-  মুর্শিদাবাদ, কলকাতা, দিল্লি, নেপাল, দুবাই, বাংলাদেশে বাড়ির ছড়াছড়ি গরু পাচারকাণ্ডের মাথা এনামুলের!


প্রায় তিন বছর ধরে কেরলে রাজমিস্ত্রির হেল্পারের কাজ করত শামিম আনসারি। তবে প্রায় এক বছর আগে বাড়ি ফিরে এসেছিল সে। তারপর থেকে গ্রামেই ছিল। সেখানেই রাজমিস্ত্রির কাজ করত। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় কয়েকটি গাড়ি এসে তুলে নিয়ে যায় শামিম আনসারিকে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এর আগে মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও জলঙ্গি থেকেই ধরা পড়েছিল একের পর এক আল কায়দা জঙ্গি।