নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃপ্তির সঙ্গেই অতৃপ্তি। স্বস্তির সঙ্গেই আশঙ্কা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কওসর আলির গ্রেফতারির পরেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না এনআইএ। কারণ হাতছাড়া হয়ে গেছে আরও ২ জামাত জঙ্গি। এনআইএ-কে ধোঁকা দিয়ে পালিয়ে গেছে কদর গাজি ও হাবিবুল্লাহ। তাদের সঙ্গেই উধাও হয়ে গেছে কওসরের স্ত্রী-ও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৬ অগাস্ট বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার করা হয় কওসর ওরফে বোমারু মিজানকে। জেরায় কওসর জানায় ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে আরও ২ জামাত জঙ্গি। কিন্তু তাদেরকে ধরতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হল এনআইএ-কে। আগাম খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় ওই দুই জঙ্গি। তাদের সঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে কওসরের স্ত্রী।


আরও পড়ুন, অমিতের সভার নিরাপত্তায় ড্রোন না সিসিটিভি? বদল নিরাপত্তা পরিকল্পনায়


হাতছাড়া হল কারা? পরিচয় শুনে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। রাতের ঘুমও উড়ে যাওয়ার জোগাড়। কদর গাজি শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরির বিশেষজ্ঞ। কওসরের মতোই কদর গাজিও ছিল মোস্ট ওয়ান্টেড। বীরভূমের লাভপুরে কদর গাজির শ্বশুরবাড়ি। কদর গাজিকে ধরতে বীরভূমের লাভপুরে হানা দিয়েছিল গোয়েন্দারা। কিন্তু কদর গাজিকে ধরা যায়নি।


অন্যদিকে, হাবিবুল্লার দায়িত্ব ছিল সংগঠনে নতুন জঙ্গি নিয়োগ করা। এলাকার যুবকদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে নিয়ে আসত সে। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করত কদর গাজিও। এনআইএ-র অনুমান, কওসর, কদর আর হাবিবুল্লাহ তিনজনে মিলে ফের বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। কওসরকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।


আরও পড়ুন, এটিএম জালিয়াতি : জালে আরও ২, জেরায় ফাঁস কলকাতার টার্গেট পয়েন্টগুলি


ইতিমধ্যেই, ঝাড়খণ্ডের পাকুরিয়া থেকে দিলওয়ার হোসেন ওরফে আলি হাসান ওরফে উমর নামে এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল দিলওয়ার। কওসর ছাড়াও বেঙ্গালুরু থেকে আদিল শেখ নামে আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।


২০১৪ -র ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জঙ্গিদের একটি ডেরায় বিস্ফোরণ ঘটে। ২ জন মারা যায়। তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-এর বিশাল নেটওয়ার্কের কথা জানা যায়। ঘটনায় দুই জামাত নেতা কওসর ও সোহেল মেহফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লার নাম উঠে আসে। এপার বাংলার মাটিকে ব্যবহার করে ওপার বাংলায় ধারাবাহিক নাশকতার প্রস্তুতি চলছিল বলে চার্জশিটে জানায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ।