ওয়েব ডেস্ক: দার্জিলিং বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। শুক্রবার মধ্যরাতে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দার্জিলিঙের চকবাজার। সেই ঘটনার তদন্ত নিতে পারে সিআইডি। ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠাতে পারে এনআইএ-ও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাত ১২.৩৫ মিনিটে তীব্র বিস্ফোরণ হয় দার্জিলিং শহরের প্রাণকেন্দ্র চকবাজারে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়ে জানলার কাচ। গর্ত হয়ে ‌যায় রাস্তায়। নিকটবর্তী একটি দোকানের শাটারও ক্ষতিগ্রস্ত। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল 'হাই ইন্টেনসিটি এক্সপ্লোসিভ'। বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল ব্যাটারিচালিত ডিটোনেটর দিয়ে।


আরও পড়ুন - ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা হারাতে পারে ঐতিহ্যের টয় ট্রেন: ইউনেসকো


রাতেই ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আতঙ্ক ছড়াতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল মধ্যরাতে। প্রাণহানি ঘটানোর পরিকল্পনা থাকলে দিনে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারত দুষ্কৃতীরা।


শনিবার সকাল থেকে জোর কদমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জুলাইয়ে মেজিতে একটি নির্মিয়মাণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ৪৮০টি জিলেটিন স্টিক খোয়া গিয়েছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই বিস্ফোরক ব্যবহার করে শনিবার রাতের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। 


ওদিকে ঘটনার দায় অস্বীকার করে তীব্র নিন্দা করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তাঁদের দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এসব করছে কিছু দুষ্কৃতী। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মোর্চার মুখপাত্র বিনয় তামাং বলেন, 'ঘটনার উচ্চস্তরীয় তদন্ত দাবি করছে মোর্চা। সত্য সামনে আসুক।'