কাজের বাড়ির মালিকের সঙ্গে নয়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল দেওরের সঙ্গেই, নিমতা খুনে ফের নয়া তথ্য
খুনের পর দেহ লোপাট করে সহযোগীরা বেরিয়ে গেলেও বাড়িতেই ছিলেন অনিতা। পরে চিৎকার করে লোকজনকে ডাকেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিমতার যুবক পেশায় কাঠমিস্ত্রি সঞ্জীবন মণ্ডল খুনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নেপথ্যে অবশ্যই স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তবে যে বাড়িতে তিনি আয়ার কাজ করতেন, সেই বাড়ির কর্তা ইঞ্জিনিয়ার নীলাঞ্জন সরকারের সঙ্গে নয়, বরং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তার নিজের দেওর বিশ্বজিত্ মণ্ডলের সঙ্গেই। পুলিসি জেরায় কবুল করেছে অভিযুক্ত স্ত্রী অনিতা ও তার দেওর বিশ্বজিত্। সোমবারই বিশ্বজিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জেরায় তারা স্বীকার করেছে, দুজনে মিলেই সঞ্জীবনকে খুন করেছে তারা। প্রথমে শ্বাসরোধ করে পরে গলার নলি কেটে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক ধরেই দেওরের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অনিতার। বেশ কিছুদিন আগেই সঞ্জীবন তা জানতে পেরে যান। তারপরই তাকে রাস্তা থেকে সরানোর প্ল্যান করতে থাকে অনিতা ও বিশ্বজিত্।
পরকীয়ার জন্যই ঠান্ডা মাথায় ছক কষে হত্যা স্বামীকে! নিমতা খুনে কবুল স্ত্রীর
ঘটনার দিন বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার নাম করে সঞ্জীবনের সঙ্গে ঘরেই আলোচনায় বসে বিশ্বজিত্ ও অনিতা। ছেলেকে খেলনা কেনার টাকা দিয়ে ঘর থেকে বার করে দেওয়া হয়। এরপর কথাবার্তা চলাকালীনই পিছন থেকে সঞ্জীবনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বজিত্। প্রথমে তাঁকে শ্বাসরোধ করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি কাটা হয়। এরপর শরীর রক্তশূন্য হয়ে গেল দেহ ফেলে দেওয়া হয় বাড়ির অদূরে ঝোপের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, খুনের পর দেহ লোপাট করে সহযোগীরা বেরিয়ে গেলেও বাড়িতেই ছিলেন অনিতা। পরে চিৎকার করে লোকজনকে ডাকেন।
খুনে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে পুলিস। ২টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। যারমধ্যে একটিতে অনিতার হাতের আঙুলের ছাপ মিলেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি মোবাইলও।