নিজস্ব প্রতিবেদন : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই নিমতায় খুন যুবক। জেরায় কবুল করল নিহতের স্ত্রী অনিতা। পুলিসি জেরাও আরও জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় কমপক্ষে আরও ২ জন জড়িত। যারমধ্যে একজনের সঙ্গে অনিতার 'পরকীয়া' ছিল। পুলিস সূত্রে খবর, নীলাঞ্জন সরকার নামে ওই ব্যক্তি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বাড়ি বেলঘড়িয়ার যতীনদাস নগরে। আয়ার কাজ করতে গিয়ে নীলাঞ্জনের সঙ্গে আলাপ হয় অনিতার। নীলাঞ্জনের সন্তানের দেখাশুনা করত অনিতা। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ধৃত অনিতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তদন্তে জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করার আগে বেহুঁশ করা দেওয়া হয়েছিল সঞ্জীবন মণ্ডলকে। স্প্রে করে বা কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করা হয় তাঁকে। এরপরই শ্বাসরোধ করা হয় সঞ্জীবন মণ্ডলের। মৃত্যু নিশ্চিত করতে নলি কেটে দেওয়া হয়। খুনে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে পুলিস। ২টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। যারমধ্যে একটিতে অনিতার হাতের আঙুলের ছাপ মিলেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি মোবাইলও।


আরও পড়ুন, চুল-দাড়ি কামিয়ে 'সাধু' সেজে মন্দিরে আশ্রয়! নরেন্দ্রপুর খুনে পুলিসের জালে স্বামী


আরও জানা গিয়েছে, খুনের পর দেহ লোপাট করে সহযোগীরা বেরিয়ে গেলেও বাড়িতেই ছিলেন অনিতা। পরে চিৎকার করে লোকজনকে ডাকেন। পূর্ব পরিকল্পনা করেই অনিতা স্বামীকে খুন করেন বলে নিশ্চিত পুলিস। কারণ, তার আগে টাকা দিয়ে ছেলেকে সাইবার ক্যাফেতে গেম খেলতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন অনিতা।


এই ঘটনায় ৩০২ (খুন) ও ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা ও তারপর কিছু না জানার 'নাটক' করে যাওয়ার পেশাদার মানসিকতা-ই তদন্তে নেমে ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে খুন হন নিমতার পূর্ব আলিপুরের বাসিন্দা সঞ্জীবন মণ্ডল। বাড়ির কাছেই অদূরে ঝোপে মেলে যুবকের নলিকাটা দেহ। ঘরের মধ্যে পড়েছিল চাপ চাপ রক্ত।