স্যানিটাইজ করাতে হবে, এই ঝক্কিতে মিলল না অ্যাম্বুলেন্স, মৃত্যু ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর
কোন গাড়ির ব্যবস্থা করতে না পেরে আবার পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। পরে অন্য গাড়ি ভাড়া করে কলকাতার পথে রওনা দেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনে মিলল না অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হল ক্যান্সার আক্রান্ত তিন বছরের শিশুর। প্রতিবাদে প্রধানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি তারকেশ্বরের বালিগরী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্ম থেকেই লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত ছিলো তিন বছরের শিশুকন্যা।মাঝেমধ্যে কলকাতায় নিয়ে যেতে হত চিকিৎসার জন্য। গত এক সপ্তাহ ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েতে অ্যাম্বুলেন্স চাইলে করোনার কারণ দেখিয়ে প্রধান দিতে চাননি বলেন অভিযোগ।
মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কোন গাড়ির ব্যবস্থা করতে না পেরে আবার পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। পরে অন্য গাড়ি ভাড়া করে কলকাতার পথে রওনা দেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় দলের নিরাপত্তায় থাকা ৬ বিএসএফ জওয়ানের করোনা পজেটিভ, কোয়ারেন্টিনে ৫০
পথে মৃত্যু হয় শিশুটির। পরিবারে অভিযোগ, সময়ে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় চিকিৎসা করানো যায়নি শিশুটির।
বুধবার উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় তারকেশ্বর থানার পুলিস।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান হারাধন মজুমদারের দাবি, আগে কয়েকবার অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানিনো হয়েছিল, অ্যাম্বুলেন্স স্যানিটাইজড করে নিতে। শিশুটি গুরুতর অসুস্থ একথা অ্যাম্বুলেন্স চালককে জানানো হয়েছিল, তাঁকে জানানো হয়নি বলে দাবি প্রধানের।