নিজস্ব প্রতিবেদন : নৈহাটি পুরসভা পুনর্দখল করল তৃণমূল। আস্থা ভোটে ২৪-০ ফলাফলে জয় হাসিল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাইকোর্টের নির্দেশে আজ বারাসতে জেলাশাসকর দফতরে ভোটাভুটি হয়। ভোটে অংশ নেয়নি বিজেপির কোনও কাউন্সিলর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


লোকসভা ভোটের ফলাফলে বঙ্গে বিজেপির ব্যাপক উত্থানের পরই দল ভাঙিয়ে পুরসভা দখলের কৌশল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই তালিকায় অন্যতম টার্গেট ছিল নৈহাটি পুরসভা। ৩৩ আসনের নৈহাটি পুরসভা ছিল তৃণমূলের দখলে। ৩৩ জন কাউন্সিলেরর মধ্যে ৩১ জন-ই ছিল তৃণমূলের। এখন লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর সেই ৩১ জনের মধ্যে ১৮ জন কাউন্সিলর ঘাসফুল ত্যাগ করে পদ্মশিবিরে গিয়ে নাম লেখায়। ফলে ৩৩ ওয়ার্ডের নৈহাটি পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। জোরালো হয় বিজেপির বোর্ড দখলের সম্ভাবনা।


কিন্তু, রাজনীতির গতিপ্রকৃতি বরাবরই নাটকীয়। কয়েকদিনের মধ্যেই নৈহাটি পুরসভার রাজনৈতিক সমীকরণের ছবিটা ১৮০ ডিগ্রি বদলে যায়। দলত্যাগী ১৮ জনের মধ্যে 'ঘর বাপসি' করে তৃণমূলে ফিরে আসেন ১০ জন কাউন্সিলর-ই। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ জন কাউন্সিলর বিজেপি থেকে ফেরত এসেছেন বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে নৈহাটি পুরসভায় তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা ২৬ বলে দাবি করে তৃণমূল। তারা অবিলম্বে নৈহাটি পুরসভা পুনরুদ্ধার করবে বলে সরব হয়।


আরও পড়ুন, 'কার্নিভালের দিন আমায় অপমান করেছে রাজ্য, চোখে জল এসে গিয়েছিল', জানালেন ব্যথিত রাজ্যপাল


অবশেষে আজ ছিল আস্থা ভোট। ভোটাভুটি হতে দেখা যায় ২৪ জন কাউন্সিলর তৃণমূলের হয়ে ভোট দিয়েছেন। বিজেপির কেউ ভোট দেননি। যারফলে ৩৩ ওয়ার্ডের নৈহাটি পুরবোর্ড ২৪-০-এ পুনর্দখল করল তৃণমূল। এদিকে ভোটে বিজেপির একজন কাউন্সিলরও যোগ না দেওয়ার প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়েছেন, এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। পুলিস দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। ভয় দেখিয়ে বোর্ড দখল করা হয়েছে। আর ৫ মাস পরই পুরনির্বাচন। তখনই আসল ছবিটা সামনে আসবে।