নিজস্ব প্রতিবেদন: অবাধ আগমন চলছিল। এবার ভোটের মুখে দলের দরজা বন্ধ করল বিজেপি। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য দল থেকে আর কাউকে দলে নেওয়া হবে না বলেই ঘোষণা দলের। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ই তা স্পষ্ট করেছেন সম্প্রতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দল ও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দল থেকে বিজেপিতে যোগদান, মানুষের জন্য কাজ করতে চাওয়ার তাগিদ। এই ফর্মুলা মেনেই গত কয়েক মাস ধরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ থেকে শুরু করে ছোট-বড় নেতা। 


তৃণমূলের আর কতজন আসার পরিকল্পনা করছেন? এই জল্পনার মধ্যেই এ রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাউন্সার হাঁকালেন। কৈলাস সাফ জানিয়েছেন, 'নির্বাচনের আগে নতুন করে বিজেপিতে যোগদান আমরা বন্ধ রাখছি। আপাতত আর কাউকে যোগদান করানো হবে না'।


যাঁরা ইতিমধ্যেই বিজেপিতে গিয়েছেন, তাদের তালিকাটা বেশ লম্বা। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী, বনশ্রী মাইতি, বিশ্বজিত্‍ কুণ্ডু, সৈকত পাঁজা, দিপালী বিশ্বাস, সুকরা মুণ্ডা, শীলভদ্র দত্ত-সহ আরও অনেকেই। 


এভাবে লকগেট খুলে দেওয়াটা বরাবরই সংঘের না-পসন্দ। সূত্রের খবর, গত মাসেই আরএসএসের তরফে বিজেপিকে জানান হয়। দলের নীতি-আদর্শের সঙ্গে পরিচয় না করিয়ে, স্রোতের মতো লোক নিলে তার দাম চোকাতে হবে। এসব বন্ধ করতে হবে। 


এরপরও শনিবার রাজীব,বৈশালী-সহ একাধিক হেভিওয়েটদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছেন কৈলাসরা। অন্যদল থেকে আসা বিজেপি কর্মীরাই এখন নব্য বিজেপি। এদিকে অনেক জায়গাতেই পুরনো কর্মীদের সঙ্গে তাদের বনিবনা নেই। কোথাও কোথাও দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও বেধে যাচ্ছে বলে খবর।


রাজনৈতিক মহল বলছে, পরিস্থিতি সামলাতেই এই সিদ্ধান্ত। বেনো জল আটকাতে গেট বন্ধ করতেই হত। কারণ ভোটের মুখে নতুনদের এনে সংগঠন মজবুত করা সম্ভব নয় বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। কর্মীদের ক্ষোভ কমাতেও ব্যবস্থা নিতে হত।