৯ বছর আগে শিলান্যাস হলেও, বার্ণপুরে দামোদরের উপর সেতু প্রকল্পে কাজ এগোয়নি সামান্যও
৯ বছরে গাঁথা হয়নি একটি ইটও। প্রাণ হাতে করেই প্রতিদিন দামোদর পেরোচ্ছেন আসানসোল-বাঁকুড়ার কয়েক হাজার মানুষ। দু হাজার আটে পাকা সেতুর শিলান্যাস করেন তত্কালীন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। তারপর থেকে অনন্ত প্রতীক্ষা। সেতু কবে হবে উত্তর চান এলাকার মানুষ।
ওয়েব ডেস্ক: ৯ বছরে গাঁথা হয়নি একটি ইটও। প্রাণ হাতে করেই প্রতিদিন দামোদর পেরোচ্ছেন আসানসোল-বাঁকুড়ার কয়েক হাজার মানুষ। দু হাজার আটে পাকা সেতুর শিলান্যাস করেন তত্কালীন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। তারপর থেকে অনন্ত প্রতীক্ষা। সেতু কবে হবে উত্তর চান এলাকার মানুষ।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা। বারোমাস একই হাল। দামোদর পার করতে ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। প্রাণ হাতে করে যাতায়াতই নিয়তি বাঁকুড়া-আসানসোলের কয়েক হাজার মানুষের। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। আসানসোল ও বাঁকুড়ার মাঝে বয়ে চলা দামোদরের ওপর পাকা সেতু তৈরির পরিকল্পনা হয় বছর নয়েক আগে।
বার্নপুরে ইস্কো কারখানা লাগোয়া এই অঞ্চল। দামোদরের ওপর পাকা সেতু তৈরি হলে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-মেদিনীপুরের মধ্যে যোগাযোগ মজবুত হবে। হলদিয়া বন্দর থেকে কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক সহজেই ইস্পাত কারখানায় ঢুকতে পারবে। ২০০৮-এ দামোদরের ওপর পাকা সেতুর শিলান্যাস করেন তত্কালীন ইস্পাতমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। আশায় বুক বাঁধেন আসানসোল-বাঁকুড়ার মানুষ। ইস্কোর আধুনিকীকরণের হাত ধরে হয়তো তাঁদের সমস্যাও মিটবে। কিন্তু, হয়নি। ন বছরে গাঁথা হয়নি একটি ইটও।
বছর চারেক আগে এলাকার মানুষরাই তৈরি করেন বাঁশের সাঁকো। নদ পার করতে সেটাই এখন একমাত্র ভরসা। পাকা সেতুর দাবিতে দু-দুবার অনশনও করেছেন এলাকার মানুষ। ফাঁকা প্রতিশ্রুতি ছাড়া মেলেনি কিছুই। প্রাণ বাজি ধরে ঝুঁকির যাতায়াতের শেষ কবে? উত্তর চান বাঁকুড়া-আসানসোলের মানুষ। (আরও পড়ুন- ৯২ টাকা দাম কমল ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডারের, দাম বাড়ল ভর্তুকিযুক্তর )