নিজস্ব প্রতিবেদন: হয় প্রথা মেনে বড় মূর্তি, নয় ঘট পুজো। দুই-এর মধ্যে বাছতে হবে যে কোনও একটি। এমনই সিদ্ধান্ত চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির বৈঠকে। করোনাবিধি মানা হবে, তবে জগদ্ধাত্রী পুজোর পুরনো ঐতিহ্যের সঙ্গে আপস নয়। সোমবার বেঠকে এমনটাই জানিয়েছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিগুলি। ১৭১টি পুজো কমিটির মধ্যে এই সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে ১১৯ টি পুজো কমিটি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন বৈঠকে জানানো হয়, উচ্চতা কমিয়ে যেমন খুশি জগদ্ধাত্রী প্রতিমা মূর্তি বানানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে পুরনো কাঠামো আলাদা করে নতুন ছোট মূর্তি বানানোতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক উচ্চতার পুজো করতে অনিচ্ছুক যাঁরা, তাঁরা ঘট পুজো করতে পারবেন। 


করোনা আবহে চন্দননগরে ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর ভবিষ্যত কী? তা নিয়ে আলোচনা করতেই রবিবার চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভা ছিল। সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সমস্ত পুজো কমিটিকেই। বৈঠকে জানানো হয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে উন্মুক্ত মঞ্চের পাশাপাশি দর্শকদেরও বিধিনিষেধ মানতে হবে। 


আরও পড়ুন  'Black Sunday; গায়ের জোরে কৃষি বিল পাস করেছে কেন্দ্র, বিরোধীরা যা করেছে ঠিক করেছে'


অন্যদিকে বাকি পুজো কমিটিগুলির মধ্যে ৩৩টি পুজো কমিটি করোনা আবহে ঘটে পুজা করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। অন্যদিকে শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে কী করা হবে তা পরবর্তীকালে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 


লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের আদি মা-র ক্ষেত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, পুরোনো ঐতিহ্য মেনেই পুজো হবে, দর্শনার্থীদের দর্শনের সরকারি নিয়মবিধিও পালনের ব্যবস্থা করা হবে।  চন্দননগরবাসী সারাবছরই অপেক্ষা করে থাকে এই আদিমায়ের পূজার জন্য, সেই ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা হবে না বলেই ইতিমধ্যে বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। 


কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জানিয়েছেন, "এই ১৭৪ টি পুজোকে নিয়েই তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি, তাই তাঁরা প্রস্তাব রেখেছিলেন, সে ক্ষেত্রে যে যে ভাবে মতামত ব্যক্ত করেছেন, তা মেনে নিয়েছে কমিটি। কারণ, এখানে একটি ধর্মীয় ভাবাবেগ কাজ করছে, তাই কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সেই ভাবাবেগকে আঘাত দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।"