নিজস্ব প্রতিবেদন :  আশঙ্কাই সত্যি হল পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে গোটা দুর্গাপুরের ৪১টি ওয়ার্ড সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে। গত শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে জলশূন্য হয়ে যায় দুর্গাপুর ব্যারেজ। এরপর হু হু করে সব জল বেড়িয়ে যেতে থাকে। রবিবার থেকে পানীয় জলের পাইপ লাইনে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে পানীয় জলের সংকট দেখা দিতে শুরু করে দুর্গাপুর জুড়ে। সোমবার তা তীব্র আকার নেয়। শুধু পানীয় জল নয়, জলের সংকট প্রভাব ফেলেছে শিল্পেও। জলের অভাবে  শিল্পনগরী দুর্গাপুর আপাতত স্তব্ধ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পানীয় জলের সংকট চরমে ওঠায় ততপর প্রশাসন। দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি জানিয়েছেন, ''ব্যারেজে সমস্যা হওয়ার ফলে দুর্গাপুর জুড়ে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিলেও তা দ্রুত মোকাবিলা করেছে করপোরেশন। আমরা সব ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে পানীয় জলের সংকট দূর করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় সেইদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। সেচ দফতরের আধিকারিক সঞ্জয় সিং জানান, “সোমবারের মধ্যে বাধে কাজ শেষ করে মঙ্গলবার লকগেট সারিয়ে ফেলা হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে দুর্গাপুরে পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক করে ফেলা হবে।"



সেচ দফতরের আধিকারিকরা মঙ্গলবারের মধ্যে পানীয় জলে সরবরাহের কথা বললেও ঠিকদার সংস্থা অর্থাত যারা বাধ এবং লকগেট মেরামতের কাজ করছে, তারা জানিয়েছে, মঙ্গলবারের আগে বাধ মেরামতের কাজ শেষ সম্ভব হবে না। তারপর লকগেটে কাজ হবে। তাই মঙ্গলবারের মধ্যে দুর্গাপুরের পানীয় জলের সংকট স্বাভাবিক হবে কিনা, ঠিকাদার সংস্থার কথায় তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে কাজ চলছে।


এদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজ জলশূন্য হওয়াতে পূর্ব বর্ধমানে পানীয় জলের সংকট দেখা দিলেও, এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলার কোথাও পানীয় জল সরবরাহে তেমন ঘাটতি হয়নি বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। সোমবার থেকে জেলার তিনটি ব্লক সহ বাঁকুড়া পুরসভা এলাকায়  সমস্যা তৈরি হতে পারে এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া শহর সহ জেলার তিনটি ব্লকে মোট ৩৬টি ট্যাঙ্কারে করে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর আজ থেকে জেলায় তিনটি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিটকে কাজে লাগাবে বলে জানা গিয়েছে।  এই তিনটি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট প্রতি ঘণ্টায় ১৫ হাজার জলের পাউচ তৈরি করতে সক্ষম।  প্রাথমিকভাবে এই তিনটি ইউনিটের সাহায্যে মোট ৪০ হাজার জলের পাউচ তৈরি করে রেখেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। যে এলাকায় পানীয় জল সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাবে, দ্রুত সেই এলাকায় এই পানীয় জলের পাউচ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।


আরও পড়ুন, লোকাল ট্রেন চলবে কবে থেকে, সোমবার রেলের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের