নিজস্ব প্রতিবেদন: হালিসহরে আজ অগ্নিপরীক্ষা। বুধবার হালিসহর পুরসভায় অনাস্থা আনতে পারে বিজেপি। মুকুল রায় ও অর্জুন সিংয়ের দাবি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও স্থানীয় স্তরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে কোনও তত্পরতা দেখা যায়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



অর্জুন সিং দাবি করেছেন,  “চেয়ারম্যান ফের তৃণমূলে যোগ দিলেও, হালিসহর পুরসভা বিজেপির ছিল, বিজেপিই থাকবে। সেক্ষেত্রে বিজেপির অনাস্থা আনার জোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ”


‘নো কনফিডেন্স’  আজকের মধ্যেজমা পড়ে যাবে বলে জানিয়ে দেন অর্জুন সিং। পাশাপাশি তিনি চ্যালেঞ্জ করেন, নো কনফিডেন্স জমা পড়লেই ফের ভোটাভুটি হবে, তখন ফের বিজেপিই ফের ক্ষমতায় আসবে। নতুন চেয়ারম্যান হবে। পুরনো চেয়ারম্যানের ওপর তাঁর আগে থেকেই বিশ্বাস ছিল না বলেও জানান অর্জুন সিং।


প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুরনিগম টানাপোড়েনের মধ্যেই হালিসহর পুরসভার পুনর্দখল করে তৃণমূল। দলে ফেরেন হালিসহর পুরসভার  কাউন্সিলররা। চেয়ারম্যান-সহ ফের তৃণমূলে ফিরলেন ৮ কাউন্সিলর। বিধানসভায় দাবি করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। চেয়ারম্যান-সহ তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা হল ১২।


আজই সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা, টানটান উত্তেজনা বিধাননগর পুরনিগমে


হালিসহর পুরসভায় মোট ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ২১টি। ১ জন নির্দল ও ১ জন বিজেপি কাউন্সিলর ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান-সহ ১৬ জন কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়। যার ফলে সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিজেপি। দলবদলকারীরা তৃণমূলে ফিরতেই আবার বদলাল ভারসাম্য। এবার অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল।


কিন্তু এরই পাল্টা দাবি করেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁদের দাবি, হালিসহর পুরসভা বিজেপিরই দখলে রয়েছে। সেক্ষেত্রে ফিরহাদ হাকিমকে ‘মুর্খ লোক’ বলেও কটাক্ষ করেন অর্জুন সিং।