নিজস্ব প্রতিবেদন: পা ভেঙে বাড়ি বসে আছেন শিক্ষক। ওদিকে স্কুল সামলাতে নাজাহাল অবস্থা তাঁর সহকর্মীদের। কিন্তু হাজিরা খাতায় বরাবর হাজির তিনি। এই ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা। অভিযোগের তির প্রধান শিক্ষকের দিকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার রামপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিডিও অফিসের তদন্তকারী দল বিদ্যালয়ে পৌছেছে।


কালিয়াগঞ্জ ভাণ্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন জন শিক্ষক। ছাত্রসংখ্যা ৬০। মাস দেড়েক আগে পথ দুর্ঘটনা আহত হয়েছিলেন বিদ্যালয়ের-সহ শিক্ষক রাসু পোদ্দার। পা ভেঙে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বিদ্যালয়ে গরহাজির রয়েছেন তিনি। তিন জন শিক্ষকের মধ্যে একজন উপস্থিত না থাকায় পঠন পাঠন থেকে মিড ডে মিল স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এনিয়ে অবিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।অবিভাবকদের ক্ষোভেই উঠে আসে আসল তথ্য।


স্ত্রীকে বিক্রির ফন্দি! বোবা মেয়ে সেজে অপহরণ স্বামীর, ধরা পড়ার পর চলল গণধোলাই


বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষক তানিয়া ভট্টাচার্যের অভিযোগ,পথ দুর্ঘটনায় আহত রাসু পোদ্দার বিদ্যালয়ে না এলেও প্রধান শিক্ষক বিকাশ চক্রবর্তী তাঁর হয়ে হাজিরা খাতায় সই করছেন। বিকাশবাবুর দাবি, সহানুভূতি থেকেই সই করে দিয়েছেন তিনি। তবে আহত শিক্ষকের দাবি দীর্ঘদিন নয়, মাসে দু'এক দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। লাগাতর অনুপস্থিতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাসুবাবু।


কালিয়াগঞ্জ বিডিও কাছে এই অভিযোগ আসামাত্রই তিনি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিডিও অফিসের প্রতিনিধি দল বিদ্যালয়ে তদন্তে যায়। দরকারে প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।