SSC, Paresh Adhikari: কেবল নিজের মেয়ে নয় অভিযোগ, ২৫ আত্মীয়ের চাকরির ব্যবস্থাও করেছেন মন্ত্রী পরেশ
জানা গিয়েছে, পরেশ অধিকারী নিজে প্রাইমারি শিক্ষক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মীরা অধিকারী স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুলে চাকরি করতেন। বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশে বরখাস্ত। পরেশ অধিকারীর ছেলে বর্তমানে অস্থায়ী ভাবে চ্যাংড়াবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত।
দেবজ্য়োতি কাহালি: শুধু মেয়ের চাকরি নয় অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিবারের অন্তত ২৫ জনের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)। বাম আমল থেকে আত্মীয়দের চাকরি করে দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, পরেশ অধিকারী নিজে প্রাইমারি শিক্ষক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মীরা অধিকারী স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুলে চাকরি করতেন। বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশে বরখাস্ত। পরেশ অধিকারীর ছেলে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়েছেন। বর্তমানে তিনি অস্থায়ী ভাবে চ্যাংড়াবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত। মন্ত্রীর আত্মীয়দের মধ্যে দু-একজনের চাকরি মেধার ভিত্তিতে হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাম আমলে পরেশ অধিকারী যখন বিধায়ক ও মন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁর তিন দাদা ও ভাইয়ের চাকরি হয়। পরেশ অধিকারীর বউদি স্বাস্থ্য দফতরে এবং তাঁর মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। পরেশ অধিকারীর এক ভাই এবং ভাইয়ের চার ছেলে রয়েছেন। চার জনের মধ্যে একজন কলেজের ক্লার্ক এবং তিনজন খাদ্য দফতরে চাকরি করেন। পরেশের দুই ভাইপো ভাইঝি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করেন। আর এক ভাইঝি স্কুলের ক্লার্ক ছিলেন।
এছাড়া পরেশের মামাতো ভাই কৃষি দফতরে চাকরি করেন। পিসতুতো ভাই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। পিসতুতো ভাইয়ের দুই মেয়ে স্কুলের শিক্ষিকা। পরেশ অধিকারীর সম্পর্কে নাতিরাও সরকারি চাকরি করেন। কেউ খাদ্য দফতরে, কেউ স্কুলে। পরেশের এক শ্যালক চিকিৎসক। সেই চিকিৎসকের স্ত্রী স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত।
এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু। তাঁর অভিযোগ, বাম আমল থেকে পরেশবাবু নিজের পরিবারের ২৫ জনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। দলবদল করে তৃণমূলে এসে নিজের মেয়েকে চাকরি দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ধরা পড়ে যান।