অবশেষে সিপিএম নাম ঘুচল ঋতব্রতর
সংসদে তৃণমূলের পাশেই রয়েছেন তিনি। এমনকী টুইটে এই তরুণ সাংসদ জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়েই কাজ করতে চান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দল বহিষ্কার করলেও এতদিন পর্যন্ত রাজ্যসভায় সিপিএম সাংসদ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিনে ধোপদুরস্ত ঋতব্রতর শরীর থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হল শ্রমিক শ্রেণির দাগ। প্রাক্তন এসএফআই নেতা এবার একেবারে নামগোত্র হীন। এখন থেকে ঋতব্রত একজন নির্দলীয় 'স্বাধীন' সাংসদ। যদিও তাঁর হাবভাব দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সংসদে তৃণমূলের পাশেই রয়েছেন তিনি। এমনকী টুইটে এই তরুণ সাংসদ জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়েই কাজ করতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় ঋতব্রত ছাড়া রয়েছেন আরও ৬ নির্দল সাংসদ। কর্ণাটক থেকে মনোনীত রাজীব চন্দ্রশেখর, মহারাষ্ট্র থেকে মনোনিত সঞ্জয় দত্তাতত্রে, ঝাড়খণ্ড থেকে মনোনিত পরমিল নাটওয়ানি, উত্তরপ্রদেশ থেকে মনোনিত অমর সিং, ওড়িশা থেকে মনোনিত এভি স্বামী-সহ জি এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান ডঃ সুভাষচন্দ্র।
আরও পড়ুন- সাংসদ ঋতব্রত'র বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের নম্রতার
প্রসঙ্গত, গত বছর দল বিরোধী কাজের জন্য ঋতব্রতকে বহিষ্কার করেছিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী। যদিও ঋতব্রতর দাবি ছিল 'দলের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে' গিয়ে পলিটব্যুরো সদস্য মহঃ সেলিমের রোষে পড়েছেন তিনি। এর পরে যৌন কেলাঙ্কারিতেও নাম জড়ায় এই নেতার। বালুরঘাটের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে। যদিও আগাম জামিনে তিনি এখন 'মুক্ত'। গত বছর যৌন কেলেঙ্কারির কীর্তি ফাঁস হওয়ার পর বিয়েও করেন সিপিএমের এই প্রাক্তন ছাত্র নেতা।
আরও পড়ুন- ঋত, এখনও ফিরে আসা যায়, প্রত্যয়ী 'ঘরে ফেরা' নেপালদেব