নিজস্ব প্রতিবেদন: রণক্ষেত্র রাজ্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। পরিষেবা না পেয়ে জেলায় জেলায় ফের ডাক্তার-হেনস্থার খবর উঠে আসছে শিরোনামে। চলছে এলোপাথারি ইটবৃষ্টি। আহতের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমাগত। এদিকে শুধু এনআরএস নয় তোলপাড় রাজ্য। স্তব্ধ চিকিৎসা পরিষেবা। জুনিয়র চিকিৎসককে নিগ্রহের প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চিকিৎসকমহল। গতকাল থেকেই নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে বসেছেন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি প্রতিবাদে বন্ধ রাখা হয়েছে ব্যক্তিগত চেম্বারও। বন্ধ আউটডোর। জরুরি বিভাগ খোলা রাখার কথা থাকলেও তা কার্যত না থাকারই সামিল।  আর তাতেই হাহাকার কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপে। বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান মেদিনীপুর-সহ কলকাতার সমস্ত সরকারি হাসপাতালে অচলাবস্থার সাক্ষী রইল গোটা রাজ্য। এ কোন সকাল এমনটাই ভেবে আঁতকে উঠছেন রাজ্যবাসী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 


বিগত দু-বছর ধরে ২০০টিরও বেশি চিকিৎসক নিগ্রহের খবর উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। ওপর মহলের আশ্বাসই সার। মেলেনি কোনও নিরাপত্তা। ফের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শেষে অসহায় হয়েই কর্মবিরতীকেই বেছে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর কোনও আশ্বাসই মানতে নারাজ তাঁরা। এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতেই চলছে আন্দোলন। অন্যান্য চিকিৎসকদেরও পাশে পেয়েছেন ইন্টার্নরা। আজ বিকেলে চিকিৎসকদের যৌথ সংগঠনের তরফে একটি মিছিল বের করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হয়ে সেটি যাবে এনআরএসে। এদিকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসপাতালের সামনে অবরোধে বসেছেন রোগীর পরিবারও। সমমিলিয়ে রাজ্যজুড়ে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে তাতে কার্যত শিউরে উঠছেন রাজ্যবাসী।