অনুপ কুমার দাস: আধার কার্ড ডি- অ্যাক্টিভেট হয়ে গিয়েছে। তার চিঠি চিঠি এসেছে নদিয়া সীমান্তবর্তী বহু বাড়িতে। আধার হারিয়ে বহু মানুষ,কান্নায় ভেঙে পড়েছেন,নাওয়া খাওয়া বন্ধ। তাদের একটাই চিন্তা, কী করবে,বাংলাদেশে ফিরে যাবে? না এই দেশেই থাকবে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রি হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন, থানায় অভিযোগ পড়ুয়াদের


মূলত বাংলাদেশে থেকে ২০১৪ সালের পরে যারা এদেশে এসেছে তাদেরই চিঠি আসছে মনে করছে অনেকেই। নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বাবলাবন সহ নিধিপতা, গোবিন্দপুর, টুঙ্গী,
কাদিপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু এলাকায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পোস্ট অফিসের মারফত গতকালই এসে হাজির আধার কার্ড ডিএক্টিভেটের চিঠি। এসব মানুষজন এখন ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছে না। রেশন থেকে বঞ্চিত হয়ে বলছেন ছেলে মেয়ে নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর উপায় নেই।


প্রায় ১৪-১৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন ভারতে। সরকার আধার দিলোই কেন আবার ডিঅ্যাক্টিভেট করলই বা কেন? রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৃনমূল থেকে বলা হচ্ছে বিজেপির  কেন্দ্র সরকাররে চক্রান্ত। দলীয় সিদ্ধান্ত যা হবে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। একই কথা বলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। যার ভোটাধিকার রয়েছে তার আধার ডিঅ্য়াক্টিভেট করা অন্যায়। CAA, NRC এর প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। ওপার বাংলার মানুষ যারা ভারতে বসবাস করছে তাদের পাশে আছি, ছিলাম থাকবো। অন্যদিকে, আর বিজেপি নেতৃত্ব বলছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নাগরিকত্ব দেওয়া হবে,তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


আধারকার্ড হারানো গজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, এই কার্ড দিয়ে যদি কোনও কাজ না হয় তাহলে এটা সরকার দিলই বা কেন, নিয়ে নিলই বা কেন? আমাদের কোথায় পাঠাতে চায় সরকার? ব্যাঙ্কে গেলে টাকা দিচ্ছে না। সরকারি কাজের টাকা পাচ্ছি না। রেশনে চাল পাচ্ছি না। এখন তো মরণ ছাড়া কোনও উপায় নেই। গরিব মানুষ। ২০১৪ সালে আধার কার্ড তৈরি করেছিলাম।  


আধার হারানো সুশীল বিশ্বাস বলেন, তিন চারদিন আগে ওরা আমার কাছে ছুটে এল। বলল পোস্ট অফিস থেকে চিঠি এসেছে। বলছে আধার কার্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে।  চিঠি খুলে দেখি ওগদের আধার কার্ড ডি অ্যাক্টিভেটেড হয়ে গিয়েছে। সরকার আধার কার্ড দিল। এখন আবার ফিরিয়ে নিচ্ছে কেন?


স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, রোজ রোজ খবর পাচ্ছি আধার বাতিল হয়ে যাচ্ছে। শুনতে পাচ্ছি তাদের ব্যাঙ্কের বই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এটা এনআরসির কোনও ব্যাপার কিনা বলতে পারছি না। মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, যারা ভোট দিয়ে  বিধায়ক, সাংসদ নির্বাচিত করেছেন তাদের কোনও সমস্যা নেই।


বিজেপির জেলা সম্পাদক নির্মল কুমার বিশ্বাস বলেন, এদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য একটা প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। এটা তার প্রথম ধাপ। এতে মানুষের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বাংলাদেশ থেকে এসে কেউ কেউ দালাল ধরে ঈআধার করে নিয়েছি। তাদের এই লোকসভা ভোটের আগেই নাগরিকত্ব কার্ড দেওয়া হবে। বিজেপি এদের নিয়ে ভাবছে। কোনও সমস্যা হবে না। ২০১৪ সালের পর কারা এসেছে তাদের চিহ্নিত করে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এসব করা হচ্ছে।


 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)