শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মতো আজই নওশাদের বাড়ি পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। তাঁকে কোন ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগামী ২ দিনের মধ্যে নওশাদকে কেন্দ্রীয় বহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ? শনি-রবি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা! ভেসে যাবে কলকাতা?


শনিবার নওশাদ সিদ্দিকির বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক আধিকারিক-সহ মোট তিনজন। তাঁরা এসে নওশাদের বাড়ি ঘুরে দেখেন। তাঁকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া যায় তা ঘুরে দেখেন। তাঁর কর্মসূচির বিষয়গুলিও জেনে নেন। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা নওশাদকে আগামী ২দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কোন ক্যাটিগরির নিরাপত্তা নওশাদকে দেওয়া হবে তা তারা জানাননি। সোমবার সম্ভবত তারা সেকথা আদালতে জানাবেন। 


গোটা বিষয়টি নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, এখনওপর্যন্ত কোনও নিরাপত্তা আমাকে দেওয়া হয়নি। কয়েকদিন ধরেই নিরাপত্তা আধিকারিকরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। আজ কয়েকজন আমার কাছে আসেন। ওঁরা আমার বিভিন্ন বিষয় জানার চেষ্টা করেন। বললেন, এখনও ক্যাটিগোরিটা ঠিক হয়নি। কয়েকদিনেরমধ্যেই নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। 


কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন নওশাদ সিদ্দিকি। মঙ্গলবার তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। এদিন, নওশাদকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।  'আমি প্রাণহানির আশঙ্কা আছি'। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, 'পাইলট কার তো পাওয়ার প্রশ্নই আসছে না। বিধায়ক হিসেবে সম্ভবত ২-৪ জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকেন, সেগুলি আমি পাইনি। রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি, নিরাপত্তা পাইনি। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি'। ওই মামলায় আজ শুনানি ছিল। বিচারপতি মান্থার তাঁর রায়ে আজ বলেন, রাজ্যে বহু বিধায়ক নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নওশাদ সিদ্দিকির নিরাপত্তার প্রয়োজন। যত শীঘ্র সম্ভব এর ব্য়বস্থা করা প্রয়োজন। 


পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে রণক্ষেত্র ভাঙড়। অশান্ত হয়েছে রোজই! কেন? অভিযোগ, মনোনয়ন পেশ করতে বাধা দেওয়া হয়  ISF প্রার্থীদের। পরিস্থিতি চরম আকার নেয় শেষদিনে। ভাঙড়ে ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে। সঙ্গে গুলি! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ২। একজন ISF কর্মী, আর একজন তৃণমূলকর্মী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও বেশ কয়েকজন।


বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি গতকাল এনিয়ে বলেন, 'ভাঙড়ে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। কিন্তু বাইরে থেকে আরাবুল সাহেবরা, শওকত সাহেবরা, গুন্ডা-মস্তানদের নিয়ে এসে,  ভাঙড়ে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে বা বিরোধীদের টার্গেট করার চেষ্টা করছে। সেই টার্গেটের মধ্যে তো আমিও আছি। সেজন্যই আতঙ্কে আছি। নমিনেশন পর্ব থেকে আমি বুঝতে পারলাম, এরা যে এতটা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে, আমার জানা ছিল না'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)