কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উলুবেড়িয়ায় বিজেপির সভামঞ্চ মিলিয়ে দিল তাঁদের। মাত্র কয়েক বছর আগেও তাঁরা ছিলেন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। আজ সেই মুকুল রায় ও লক্ষ্মণ শেঠ হাত ধরাধরি করে এক মঞ্চে। দু'জনেই একসময় ছিলেন নিজের দলের প্রভাবশালী নেতা। কালের ফেরে সেই মুকুল ও লক্ষ্মণ এখন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপি শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করলেও এই ছবিতে মুচকি হাসলেন অনেকেই।  


আরও পড়ুন- রাতে বাইরে থেকে কারা ঢুকছে বীজপুরে, ২৪ ঘণ্টার কাছে চাঞ্চল্যকর দাবি শুভ্রাংশুর


তখন রাজ্যে সিপিএমের জমানা, হলদিয়ায় বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়াতেন লক্ষ্মণ শেঠ। তবে পরিবর্তনের কয়েকবছর আগে থেকেই লক্ষ্মণের তেজ কমছিল। নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর থেকেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে যান তিনি। ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে দলের কোপে পড়েন লক্ষ্মণ। দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে সিপিএম। 'ভারত নির্মাণ পার্টি' নামে একটি রাজনৈতিক দল খুলে সাফল্য পাননি। ২০১৬ সালে বিজেপিতে নাম লেখান লক্ষ্মণ শেঠ। 
ওদিকে, একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায় এমাসের শুরুতেই গেরুয়া আবির মেখেছেন। তাঁর দলের সঙ্গে দূরত্ব শুরু যদিও সারদা তদন্ত থেকে। তার পরের ইতিহাস খুব পুরনো নয়... 


আরও পড়ুন- ট্রেডমার্ক বিতর্কে এবার মমতাকে জড়ালেন মুকুল


ভিন্ন দলে থাকাকালীন দু'জনেই একে অপরকে বাছা বাছা বিশেষণে বিঁধেছেন। তবে সে সব এখন অতীত। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলে কল্কে না পেয়ে গেরুয়া শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন মুকুল-অধীর। সেই 'রাজনৈতিক উদ্বাস্তু'-দের একমঞ্চে দেখা গেল শনিবার। দুই ভিন্ন আদর্শের নেতার মুখে আজ, 'জয় শ্রী রাম।'