নিজস্ব প্রতিবেদন : এনআরএস  কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে চিকিত্সা পরিষেবা বয়কটের ডাক দিলেন ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে আগামিকাল সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধের ডাক দেওয়া হল। আগামিকাল ১২ ঘণ্টা আউটডোর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টর্স ফোরাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ। রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের হাতে নিগৃহীত হন জুনিয়র ডাক্তাররা। রোগীর আত্মীয়দের ছোঁড়া ইটে মাথা ফেটে যায় জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর করোটির সামনে ডানদিকের হাড় ভেঙে যায়। গুরুতর আহত হন আরও এক জুনিয়র ডাক্তার।


প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ট্যাঙরার বিবি বাগানের বাসিন্দা মহম্মদ সাহিদকে (৬৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, সোমবার বিকেলের পর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মহম্মদ সাহিদের মৃত্যু হয়। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে এনআরএস।


রোগীর পরিবারের হাতে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় রাত থেকেই বিক্ষোভে বসেন এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তাররা। গেট বন্ধ করে দেন তাঁরা। দফায় দফায় বৈঠকের পরেও মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র। ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও অচলাবস্থা জারি রয়েছে এনআরআস-এ। এদিকে এনআরএস-এ জুনিয়র ডাক্তার নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে সামিল হন বেশ কয়েকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নরা।


আরও পড়ুন, NRS-এ জুনিয়র চিকিত্সকের ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল, বিস্ফোরক মুকুল রায়


ডাক্তারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। শুধুমাত্র আউটডোর খোলা রাখা হয়। জরুরি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কাল রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি সব হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ রেখে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটল চিকিত্সক ফোরাম।